পাবনার ঈশ্বরদীতে অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মনোয়ারুল ইসলাম (৫০) নামে বিএনপির এক নেতা। রোববার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুলভ মালিথার বাড়ি ও হাইওয়ে থানার পাশে মুনশিদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহত মনোয়ারুল দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি এবং নওদাপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। শ্রমিক দল ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের একদিন পর গুলির এ ঘটনা ঘটল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোয়ার দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিকসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে চলে যান। এতে তাঁর পায়ে ও পেটে দু’টি গুলিবিদ্ধ হয়। তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোশাররফ ও টেম্পু চালক আনিসের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিক মোশাররফের এবং যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লা আনিসের পক্ষ নেন। এর জেরে গত শুক্রবার রকু এবং বিপুলের লেকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আগের ঘটনায় রকুর অফিস ভাঙচুর করা হয়। আহত অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবারের সংঘর্ষের জেরে রোববার বিএনপি নেতা মনোয়ারুলকে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন প্রামাণিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামাণিককে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুলভ মালিথা বলেন, মনোয়ারুলকে যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লা বলেন, অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই ঘটনা তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুলের পক্ষে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন মন য় র ল ব এনপ র য বদল র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২ মে থেকে আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম  শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে, হল খুলে না দেওয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‌‘মার্চ ফর কুয়েট’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

দাবিতে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা, সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভা

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ সিন্ডিকেট সভার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।”

তিসি আরো বলেন, “সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু করার এবং সব আবাসিক হলসমূহ আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন শিক্ষার্থী সোমবার রাতে জানান, তারা সবাই সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানার জন্য প্রশাসনিক ভবনের সামনে অপেক্ষা করেন। তারা আশাবাদী ছিলেন, সিন্ডিকেট মেম্বাররা মিটিং শেষে তাদের আপডেট জানাবেন। মিটিং শেষ হলে তারা আপডেট জানতে চান শিক্ষকদের কাছে। কিন্তু, তারা কোনো সাড়া পাননি। এ কারণে পূর্বঘষিত কর্মসূচি অনুসারে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত হল খোলা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তারা।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ