দুই হাত কেটে ফেলেও বাঁচানো গেল না সাদাফকে
Published: 13th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয় সাদাফ নামে ১২ বছর বয়সী এক শিশু। চিকিৎসকের পরামর্শে দুই হাত কেটে ফেলতে হয় সাদাফের। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ দিন পর মৃত্যুর কাছে হার মানে সাদাফ।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাদাফ (১২) ফুলবাড়ীয়া মর্ডান প্রি ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে উপজেলার জোরবাড়ীয়া কোনাপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। লেখা-পড়ার কারণে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে থাকত সাদাফ।
সাদাফের বাবা মোজাম্মেল হোসেন জানান, গত ২১ মার্চ সাদাফ প্রতিবেশী উজ্জল মিয়ার বাসার ছাদে সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করছিল। খেলাধুলার একপর্যায় ঝুলে থাকা পল্লী বিদ্যুতের কভারবিহীন তারের সাথে লেগে থাকা লোহার রডে হাত লাগতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে নিচে খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সাদাফকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদাফকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে সাদাফের দুই হাত কেটে ফেলতে হয়। দীর্ঘ ২৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সকালে সাদাফের মৃত্যু হয়।
মোজ্জামেল হোসেন বলেন, “ধার-দেনার টাকায় ছেলের চিকিৎসা করিয়েছি। চিকিৎসার সময় সাদাফের দুই হাত কেটে ফেললেও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল!”
এ বিষয়ে জানতে ফুলবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের এজিএম নয়ন চন্দ্র বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাতে আমাদের করার কিছুই নেই।”
ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/মিলন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২২ রোগী
দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৫ এপ্রিল একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতি বছরে রোগটিতে ১৬ জনের মৃত্যু হলো। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনই বরিশাল বিভাগের। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ছয়, ঢাকা বিভাগে চার ও চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৪ জন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৬৬ জন বরিশালের, এর পর চট্টগ্রামে ৩৯৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৬২, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫৫, ঢাকা বিভাগে ৩৫৩, খুলনায় ১১৬, রাজশাহীতে ৬২, ময়মনসিংহে ৫১, রংপুর ও সিলেট বিভাগে ছয়জন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ আটজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। এর পর বরিশাল ও খুলনা বিভাগে দু’জন করে চারজন। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ২৯ জন, আর ৭৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬১ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১৩ জন।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।