সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৫০ টাকার মালামাল ডাকাতি ঘটনায় কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক কারবারি পায়েল (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত পায়েল সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের বাঘমারা এলাকার মো.

জহিরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রয়েছে।


রবিবার দুপুরে র‌্যাব-১১’র উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত কওে জানান, গত ২৬ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেবপাড়া এলাকায় এভেস্টা এ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত নামা দুস্কৃতিকারী কর্মীদের মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রেখে আনুমানিক তিন কোটি চৌত্রিশ লাখ একত্রিশ হাজার নয়শত পঞ্চাশ টাকার মালামাল লুট করে একটি অজ্ঞাত ট্রাক যোগে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব মামলার সূত্রধরে শনিবার ডাকাত পায়েলকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা করে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রশাসনিক ভবনের সামনে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আরেকটি রাতযাপন

হল খুলে দেয়ার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আরেকটি রাতযাপন করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। গত রোববার বিকেল ৩টা থেকে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার রাতে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনের সড়কে মাদুর বিছিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। রাতভর তাদের মশার কামড় সহ্য করতে হয়। তারপরও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় যে ৩৭ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এখনও তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। কী অভিযোগে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাও শিক্ষার্থীদের জানানো হয়নি। 
সাংবাদিকরা কুয়েট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা আপাতত বহিষ্কৃতদের নাম এবং কে কোন বিভাগের তা জানাতে রাজি হননি।

এদিকে এর আগে সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং রাতভর সেখানে অবস্থান করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি অনুযায়ী হল খোলা হয়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেকদিন দেরি আছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ