অধূমপায়ীদের সুরক্ষায় ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকলে তা সরিয়ে ফেলার আদেশ জারি করায় ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই অভিনন্দন জানান।

এ সময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.

সোহেল রেজা চৌধুরী গ্যাটস্ ২০১৭ এর তথ্য দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। একই সঙ্গে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্র, রেস্টুরেন্ট এবং গণপরিবহনে ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এমতাবস্থায় অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকলে তা সরিয়ে ফেলার অফিস আদেশ জারির বিষয়টি তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

এ সময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার ও সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা; ‘অফিস প্রাঙ্গণ ধূমপানমুক্ত’ মর্মে যথাযথ উন্মুক্ত স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাইনবোর্ড প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা এবং অফিস ভবনে ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকলে তা সরিয়ে ফেলার অফিশিয়াল আদেশ জারি করা হয়। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাশিতা-তুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত ২০ মার্চ হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ঢাকা এর সম্মেলন কক্ষে ‘অধূমপায়ীদের সুরক্ষায় অফিসের অভ্যন্তরে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখার নিশ্চয়তায় করণীয়’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

ঢাকা/হাসান/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অফ স প র ঙ র অফ স

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ

রাজনীতিবিদেরা সাধারণত পুরো সত্য বলেন না। যেটুকু নিজের স্বার্থে কাজে আসে, সেটুকুই বলেন। এই বিষয়ক একটি রূপক ইংরেজিভাষী অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত। সেটা হলো ‘গ্লাস হাফ ফুল অর হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ গ্লাসে অর্ধেক পানি থাকলে কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ ফুল’ আর কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ একই জিনিস দুজন দুভাবে বলেন। কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক ভরা, কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক খালি।

বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি আছে সত্য। কিন্তু সেই ঘাটতি মূলত পণ্য বাণিজ্যে। সেবা বাণিজ্যে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। সেখানে তাকে ধরাছোঁয়ার মতো কেউ নেই।

সিএনএনের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ২৯৩ বিলিয়ন বা ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এই উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মুডিস অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ হলো সেবা ব্যবসা। এটাই মার্কিন অর্থনীতির গোপন সূত্র। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে সেবা রপ্তানি করে। যেসব দেশে এই সেবা রপ্তানি করা হয়, তারা আবার জানে, যুক্তরাষ্ট্র বেকায়দায় পড়লে তারা এসব আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারবে, যেমন তারা বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি থেকে এসব সেবা আমদানির ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডের শর্ত দিতে পারে।

সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৯১ হাজার ‍৮৪০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এই ঘাটতি বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
ঘাটতি মানেই খারাপ নয়।

দ্বিতীয় জমানায় ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশ দিয়েই যাচ্ছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ