সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন ইমতিয়াজ ইবনে সাত্তার (ইমতিয়াজ)।

সামিট কর্পোরেশন লিমিটেড সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (এসপিআই) শতভাগ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (আইপিপি) এবং অন্যতম প্রধান এলএনজি অবকাঠামো অপারেটর। ইমতিয়াজ ইবনে সাত্তার সামিট কর্পোরেশনের সামষ্টিক অর্থ বিভাগকে নেতৃত্ব দেবেন।

যেখানে তিনি প্রকল্প অর্থায়ন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কাজের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী, অর্থদাতা ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। ইমতিয়াজ সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ এবং সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের উচ্চতর নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট করবেন।

এর আগে ইমতিয়াজ ইবনে সাত্তার আট বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিএফও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে তিনি ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যালান্স শিট তত্ত্বাবধান করেছেন। একই সময়ে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শক্তিশালী পুঁজি কাঠামো বজায় রেখে ১৩% কমন ইক্যুইটি টিয়ার ১ (সিইটি ১) রেশিও, ট্রিপল এ ক্রেডিট রেটিং এবং অডিটে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন নিশ্চিত করেন। ২০১৬ সালে, তিনি কানাডা-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, গোল্ডেন ওক কেয়ারের পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি কর্পোরেট কাঠামো গঠন, ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রণয়ন, আর্থিক পরিচালনা মডেল তৈরির পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতাদের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এরপর তিনি কানাডায় স্কশিয়া ব্যাংকে একটি প্রকল্পের অধীনে ২৬০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের বেশি রিটেইল অ্যাসেট পোর্টফোলিওর জন্য নতুন রিস্ক স্কোর মডেল চালু করেন। এই প্রকল্পটির অধীনে স্কশিয়া ব্যাংক ওএসএফআই কর্তৃক নির্ধারিত রেগুলেটরি রিমেডিয়েশন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সামিট কর্পোরেশনে যোগদানের আগে তিনি কানাডায় একটি ট্যাক্স পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট ছিলেন।

ইমতিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি সিঙ্গাপুরের ইনসিড বিজনেস স্কুল থেকে এক্সিকিউটিভ লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স করেন। ব্যক্তিগত সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে, ইমতিয়াজ জাগো ফাউন্ডেশনের স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকার বস্তিতে সুবিধাবঞ্চিত তরুণদের আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ে শিক্ষা দান করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স এফও

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ

রাজনীতিবিদেরা সাধারণত পুরো সত্য বলেন না। যেটুকু নিজের স্বার্থে কাজে আসে, সেটুকুই বলেন। এই বিষয়ক একটি রূপক ইংরেজিভাষী অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত। সেটা হলো ‘গ্লাস হাফ ফুল অর হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ গ্লাসে অর্ধেক পানি থাকলে কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ ফুল’ আর কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ একই জিনিস দুজন দুভাবে বলেন। কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক ভরা, কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক খালি।

বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি আছে সত্য। কিন্তু সেই ঘাটতি মূলত পণ্য বাণিজ্যে। সেবা বাণিজ্যে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। সেখানে তাকে ধরাছোঁয়ার মতো কেউ নেই।

সিএনএনের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ২৯৩ বিলিয়ন বা ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এই উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মুডিস অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ হলো সেবা ব্যবসা। এটাই মার্কিন অর্থনীতির গোপন সূত্র। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে সেবা রপ্তানি করে। যেসব দেশে এই সেবা রপ্তানি করা হয়, তারা আবার জানে, যুক্তরাষ্ট্র বেকায়দায় পড়লে তারা এসব আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারবে, যেমন তারা বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি থেকে এসব সেবা আমদানির ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডের শর্ত দিতে পারে।

সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৯১ হাজার ‍৮৪০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এই ঘাটতি বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
ঘাটতি মানেই খারাপ নয়।

দ্বিতীয় জমানায় ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশ দিয়েই যাচ্ছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ