মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ মামলার চার্জশিট প্রস্তুত: আইন উপদেষ্টা
Published: 13th, April 2025 GMT
মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণের মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ জানিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, তারা আশা করছেন, চার্জশিট আজই আদালতে দাখিল করা হবে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা এতথ্য জানান।
গত ১ মার্চ মাগুরার শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা।
আরো পড়ুন:
মহিষ লুট: কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাসহ ১১ জন কারাগারে
শ্রমিক দল নেতার হামলায় ৩ পুলিশ আহত, গ্রেপ্তার ২
মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। তারা সবাই কারাগারে আছেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি ওই ঘটনায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ধর্ষণ মামলায় ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আইন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএনওর সামনে কর্মচারীদের মারধর করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
দিনাজপুরের বিরামপুরে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলা পরিষদের তিন কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে ঘটনাটি ঘটে। এসময় সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বিরামপুর থানার ওসি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিষষটি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন।
আরো পড়ুন:
শিশুকে ‘ধর্ষণ’, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
জামিন: জেল গেটে হামলার শিকার সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ
আহতরা হলেন- উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক এমদাদুল হক, আবু হোসেন, ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি। তাদের মধ্যে এমদাদুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের ভেতর মুক্তমঞ্চে চলছিল। উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর কয়েকজন কর্মচারী আমন্ত্রিত অতিথিদের পান্তা, মাছ, ভর্তা ও পানি বিতরণ করছিলেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল ও তার সহযোগীরা খাবার নিয়ে বাকবিতাণ্ড শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা সবার সামনে ওই তিন কর্মচারীকে মারধর করে আহত করেন।
ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুল ইসলাম রনি বলেন, “সুন্দর পরিবেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অতিথিদের জন্য পান্তা উৎসব শুরু করার জন্য আমরা কয়েকজন নিয়োজিত ছিলাম। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল নিজেই খাবার নিতে শুরু করেন। আমরা বাঁধা দিলে ওই নেতা ও তার সহযোগীরা আমাদের পিটিয়ে আহত করেন।”
অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল বলেন, “ভাই আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি। একটা চড় মেরেছি। খাবার বিতরণের অনিয়ম ও সিনিয়র নেতাদের অপমান করায় এমনটি হয়েছে। আমার ভুল হয়েছে।”
বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল বলেন, “এমন অনুষ্ঠানে এ ধরনের আচরণ করা মোটেও ঠিক হয়নি। এমন আচরণের পর আমি সেখান থেকে চলে আসি।”
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মো. শফিকুল আলম মামুন বলেন, “আপনি সামনাসামনি আসেন, মোবাইলে নয়।”
বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, “এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিরামপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, “বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হাজার লোকের আয়োজন ছিল। এমন অনুষ্ঠানে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আহত তিন কর্মচারীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ