চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার লিফট ছিঁড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- সীতাকুণ্ডের কুমিরা সুলতানা মন্দির এলাকার রোকনুজ্জামানের ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (২৫) ও মিরসরাই এলাকার করুয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে রিফাত (২৫)। তারা দুইজনই ভবনের এসির কাজ করতেন বলে জানিয়েছে শ্রমিকেরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড বিভিন্ন ভবনে এসির কাজ করতেন মোস্তফা ও রিফাত। তারা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে এসি ঠিক করতে যাওয়ার সময় লিফটের তার ছিঁড়ে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তারা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মোস্তফাকে মৃত ঘোষণা করেন। রিফাতকে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হলেও বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, দুপুরের দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিকেলে আরেকজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে তথ্য নিতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানের সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ মারা গেছেন 

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আহমেদ বাদাউই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

আব্দুল্লাহ আহমেদের জামাতা এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন ইনস্টাগ্রামে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। তবে সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেননি। 

কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রবিবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার পর আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা  এবং তাৎক্ষণিক তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। 

আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে ২০০৩ সালে পদত্যাগ করলে দেশটির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ। ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি।

অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্যে মধ্যপন্থি ইসলামের সমর্থক ছিলেন আব্দুল্লাহ।

জ্বালানি ভর্তুকি পর্যালোচনা করা নিয়ে দেশটিতে জনসাধারণের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বছর খানেক পর ২০০৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ