‘শুধু সরকার ও দল নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক চায় চীন’
Published: 13th, April 2025 GMT
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে। চীন শুধু সরকার ও দল নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক চায়।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন: প্রধান উপদেষ্টার যুগান্তকারী সফর’ শীর্ষক এক সম্মেলনের আয়োজন করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কখনো তাইওয়ানকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে বাংলাদেশের সেই পজিশন আবার উঠে এসেছে। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর একটি মাইল ফলক। আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে। চীন শুধু সরকার ও দল নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক চায়।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের ওপরও করেছে। তবে চীন তার বন্ধু দেশগুলোকে পাশে নিয়েই এ বিষয়ে সমাধান প্রত্যাশা করে।
চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, কারিগরি শিক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে চীন। সে জন্য কিছু চীনা কোম্পানি কারিগরি শিক্ষাখাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দলকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা খুলনার তিন নেতার
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে রওশন এরশাদপন্থী জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন খুলনার তিন নেতা। আজ শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ওই ঘোষণা দেন।
এই তিন নেতা হলেন, জাতীয় পার্টির (রওশন) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোল্যা শওকত হোসেন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মাসুদুর রহমান। তাঁরা জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে সরকার পতনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয়। আমরা আশা করেছিলাম অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণের পাশে থেকে দল রাজনীতি করে যাবে। কিন্তু দেখলাম জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা ১৯৯০ সালের পর থেকে নিজস্ব রাজনীতিতে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং প্রায় সময়ই ক্ষমতাসীনদের ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দল বা ক্ষমতাসীন দল কোনোটাই হতে পারেনি। শীর্ষ নেতারা তাঁদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারকে দীর্ঘতর করতে জাতীয় পার্টি অনুঘটকের কাজ করেছে, যাতে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের সায় ছিল না। সর্বশেষ দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে অনুগত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি এই দায় এড়াতে পারে না।’
জাতীয় পার্টির ওই নেতা বলেন, ‘আমরা চাই দেশে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার জাতিকে বড় ধরনের সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে। আমরা রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার চাই। যাতে করে ভবিষ্যতে জনগণের দোহাই দিয়ে আর কোনো স্বৈরশাসক জাতির কাঁধে চেপে বসতে না পারে।’