সেই আবেদের ছেলে সোহানুরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ
Published: 13th, April 2025 GMT
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অবসরপ্রাপ্ত আলোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে মানিকগঞ্জের কালকিনি উপজেলার ১৮ শতাংশ জমি রয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে সোহানের নামে থাকা একটি গাড়ি ও দুটি ব্যাংক হিসাব। গাড়ি মূল্যসহ ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ২৩ লাখ ১ হাজার ৫৯৯ টাকা।
অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, আসামি সোহানুরের স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো উপায়ে মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সোহানুরের নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদ আলীর একটি গাড়ি, ১৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও দুইটি ফ্ল্যাট, একটি ছয় তলা বাড়িসহ ৮ দশমিক ৮৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া ৫ জানুয়ারি অবৈধভাবে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে আবেদ আলী, তার স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী ও তাদের ছেলে সোহানুরের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে কৃষকের জন্য বরাদ্দ সার বিক্রির চেষ্টা
ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।
সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার।
এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।