‘গাজা যুদ্ধ টিকিয়ে রেখে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সুবিধা নিচ্ছে’
Published: 13th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ টিকিয়ে রেখে সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সুবিধা নিচ্ছে। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ‘গাজায় নারী শিশুসহ নৃশংস হত্যাযজ্ঞ’ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গাজার যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে নারী ও শিশু। জাতিসংঘ কেন এই যুদ্ধ বন্ধ করতে সফল হচ্ছে না? জাতিসংঘে যারা অর্থ সহায়তা দেয়, তারাই যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখেছে। গাজার যুদ্ধ শত বছরের সমস্যা। এই সমস্যাটা টিকিয়ে রেখে সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সুবিধা নিচ্ছে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ টিকিয়ে রাখছে। যারা মানবতার পক্ষে তাদের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনারা যুদ্ধকে না বলার জন্য শক্ত জনমত গড়ে তুলুন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, অ্যাকশন এইডের মৌসুমী বিশ্বাস, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিংয়ের পরিচালক জনা গোস্বামী, গণশক্তির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাজা ও রাফায় ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র জনগণের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর সামরিক অভিযান, অবরোধ ও গণহত্যা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। শিশু, গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও সাধারণ মানুষদের নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধের সকল সীমা অতিক্রম করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সকল ধরনের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিতে হবে। বাংলাদেশি পাসপোর্টে একসেপ্ট ইসরায়েল (ইসরায়েল ব্যতীত) পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ, ওআইসি ও অন্যান্য ফোরামে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। গাজা ও রাফায় মানবিক সহায়তা পাঠানো এবং প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তায় অংশগ্রহণের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া আরব বিশ্বের স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়- এই অবস্থান বাংলাদেশকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ জ গণহত য ইসর য় ল গ রহণ ম নবত
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু ১৫ এপ্রিল, মানতে হবে নানা নির্দেশনা, ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি ১৫ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নির্দেশনাবলি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে’ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ ইউনিটের র্যাঙ্কিং তালিকার ১ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থীকে এবং পরের দিন তালিকার ৫০১ থেকে ৯৫৫ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৬ এপ্রিলে স্থাপত্যবিদ্যার র্যাঙ্কিং তালিকার ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। পরের দিন ১৭ এপ্রিল বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১ থেকে ২১৫ জন, বাণিজ্য ১ থেকে ৮২ ও মানবিকে ১ থেকে ২৮৪ জনকে ডাকা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাবজেক্ট নির্বাচন ও ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীকে সশরীর উপস্থিত থাকতে হবে; এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ভর্তির জন্য ফি বাবদ ১৭ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ব্লাড গ্রুপের যথোপযুক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে এবং বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ডাকা হবে। এ ছাড়া একাধিক ইউনিটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো ইউনিটে ভর্তি সম্পন্ন করার পর অন্য ইউনিটে সুযোগ পেলে শুধু বিষয় পরিবর্তন হবে, পুনরায় ভর্তি ফি জমা দিতে হবে না।
আরও পড়ুনকৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা, বাকৃবিতে উপস্থিতি ৯০ শতাংশ, ফল ১৫ এপ্রিল হতে পারে১৬ ঘণ্টা আগেএদিকে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিতে ‘ফি’ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাবিপ্রবি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। বুধবার পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি মাত্রাতিরিক্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অনেক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সাধ্যের বাইরে। তাই ভর্তি ফি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। অন্যদিকে, আজ রোববার বেলা একটার দিকে প্রশাসনিক শাবিপ্রবির ভবনের সামনে প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন ডেকেছেন একদল শিক্ষার্থী। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫ভর্তির ফি বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফি বেশি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা উঠছে। এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে শিগগিরই আলোচনা হবে।’