প্রযুক্তিপণ্যের জগতে একের পর এক চমক নিয়ে আসছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বাংলাদেশি শীর্ষ এই প্রযুক্তিপণ্যের প্রতিষ্ঠান এবার নিয়ে এসেছে রিচার্জেবল ব্যাটারিসমৃদ্ধ ফোরজি সিম সাপোর্টেড রাউটার।

স্মার্ট ডিজাইন, উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং সহজ ব্যবহারযোগ্যতার এক অনন্য সংমিশ্রণে তৈরি ওয়ালটনের নতুন এই রাউটার। বাসা কিংবা অফিসের নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি এবং স্ট্যাবল স্পিডের জন্য এটি হতে পারে পারফেক্ট সলিউশন।

নতুন আসা ওয়ালটনের তরঙ্গ ব্র্যান্ডের ডব্লিউআর৩৪জি মডেলের রাউটারটিতে রয়েছে শক্তিশালী ফোরজি এলটিই কানেক্টিভিটি, যা দিয়ে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ১৫০ এমবিপিএস ডাউনলোড এবং ৫০ এমবিপিএস আপলোড স্পিড। ২.

৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সির এই রাউটারটি ওয়াইফাই ট্রান্সমিশনে দিতে পারে ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড, যা অনলাইন স্ট্রিমিং, ভার্চুয়াল ক্লাস, অফিসিয়াল মিটিং এবং অনলাইন গেমিংয়ের জন্য দারুণ উপযোগী।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেলেন নাটোরের গৃহিণী

অনলাইনে ওয়ালটন প্লাজায় পণ্য কেনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়

রাউটারটিতে ব্যবহৃত হয়েছে এমইউ-এমআইএমও টেকনোলজি, যা একাধিক ডিভাইস একসাথে সংযুক্ত থাকলেও কানেক্টিভিটিকে রাখে স্ট্যাবল ও স্মুথ। রাউটারটিতে রয়েছে একটি মাইক্রো সিম স্লট, দুটি ল্যান পোর্ট এবং একটি ডিসি ইনপুট পোর্ট।

নতুন এই ডিভাইসটির অন্যতম বড় সুবিধা হলো এর বিল্ট-ইন ৪০০০ এমএএইচ রিচার্জেবল ব্যাটারি। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলেও রাউটার চলতে থাকবে নিরবচ্ছিন্নভাবে। এতে ঘরের ভিতরে, অফিস কিংবা দূরবর্তী এলাকাতেও সহজেই স্থায়ী ইন্টারনেট সংযোগ পাবেন গ্রাহক। এর শক্তিশালী এক্সটার্নাল অ্যান্টেনা দুর্বল নেটওয়ার্কেও ভালো সিগন্যাল রিসিভ করতে সহায়তা করে।

নিরাপত্তার দিক থেকেও এই রাউটারটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। এতে রয়েছে ডব্লিউপিএ২-পিএসকে এনক্রিপশন সাপোর্ট, যা হ্যাকিং বা অননুমোদিত অ্যাকসেস থেকে নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখে। 

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, আমরা সবসময় ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সেবা প্রদান করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাহকদের ঝামেলাহীন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট প্রদানের লক্ষ্যে নতুন এই রিচার্জেবল ফোরজি সিম সাপোর্টেড রাউটার বাজারে ছাড়া হয়েছে। এটি বিদ্যুৎবিহীন এলাকা কিংবা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় গ্রাহকদের জরুরি ইন্টারনেটের প্রয়োজন মেটাবে। যেসব অঞ্চলে তারযুক্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান সম্ভব নয়, সেসব স্থানে মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করে গ্রাহকরা সহজেই নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন।

ওয়ালটনের নতুন এই ফোরজি সিম সাপোর্টেড রাউটারটি এখন ১০% বিশেষ অফার মূল্যে মাত্র ৪,০৯৫ টাকায় ওয়ালটন প্লাজা থেকে ক্রয় করা যাচ্ছে। পাশাপাশি গ্রাহকরা ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.com/products/network/wifi-router/walton-router-wr34g?tab=specs) ভিজিট করেও অনলাইনে সরাসরি অর্ডার করার সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। 

ওয়ালটনের এই হাই পারফরম্যান্স রাউটারটির সাথে থাকছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি যা গ্রাহকদের জন্য দিচ্ছে বাড়তি নির্ভরযোগ্যতা।

ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন রবচ ছ ন ন র চ র জ বল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান। বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি শুরু হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তার দেশের নেতৃত্ব দেন। এর আগে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- তা বিস্তারিত জানা না গেলেও, দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কেননা এক যুগের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এটি। এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব।

সূচি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমনা বালুচের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

প্রায় দেড় দশক পর স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তান উদ্যোগী হয়েছে। আর ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী বাংলাদেশও। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দীর্ঘ ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এই বৈঠক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে  ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। 

পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।

এদিকে ‎পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করবেন বলে জানা গেছে। ২০১২ সালের পর বাংলাদেশে এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ