জাপানের বিখ্যাত তোশিবার অত্যাধুনিক এবং স্মার্ট গুগল টিভি এখন থেকে পাওয়া যাবে বেস্ট ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে।

শনিবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীর অভিজাত এক রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বেস্ট ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বেস্ট ইলেকট্রনিক্সের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আসাদুজ্জামান, হেড অব বিজনেস মারজুমান রহমান।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে বেস্ট ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক বলেন, “আমরা ২০১৩ সাল থেকে তোশিবা টিভি বিক্রি করছি। এটি একটি স্বনামধন্য ও নির্ভরযোগ্য জাপানি ব্র্যান্ড। তোশিবা টিভির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে আমাদের সেলস টিম এই ব্র্যান্ড নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী এবং গ্রাহকদের কাছ থেকেও আমরা ভালো রেসপন্স পাচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা র‍্যানকন ইনেকট্রনিক্স এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি, কারণ র‍্যানকন ইলেক্ট্রনিক্সের রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম আধুনিক টেলিভিশন ফ্যাক্টরি, আর আমাদের রয়েছে সারা দেশব্যাপী বিস্তৃত রিটেইল নেটওয়ার্ক। বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স এবং র‍্যানকন ইলেক্ট্রনিক্স এর এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ক্রেতাদের জন্য নিশ্চিত হবে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত সেবা এবং বিশ্বমানের পণ্য।”

র‍্যানকন ইলেকট্রনিক্সের ডিভিশনাল ডিরেক্টর ঈয়ামিন শরীফ চৌধুরী বলেন, “বিশ্বব্যাপী জাপানি তোশিবা টিভি প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব এবং গুণগত মানের জন্য একটি বিশ্বস্ত নাম। র‍্যানকন ইলেকট্রনিক্স এর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে সেই একই আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা, যাতে দেশের প্রতিটি গ্রাহক সাশ্রয়ী মূল্যে তোশিবার প্রিমিয়াম স্মার্ট গুগোল টিভি ব্যবহার করতে পারেন।”

র‍্যানকন ইলেকট্রনিক্স এর পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও একেএম তৌহিদুর রহমান, সিওও সামির মোহাম্মদ সালেহসহ অন্য কর্মকর্তারা।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে: টিউলিপ

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি ও ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে, এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।’ খবর-বিবিসি

বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সোমবার লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনও এর জবাব দেয়নি।’

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা, সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অন্য অভিযোগে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। মামলায় শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। 

এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।

টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। কেয়ার স্টারমার অফিসিয়াল চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বলেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি এবং আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ