শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতটা উপমহাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য ছিল রেকর্ড ভাঙা গড়ার। আইপিএলের মতোই পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) হলো হাইস্কোরিং ম্যাচ। পিএসলেও ২৩০ এর বেশি রান নিরাপদ রইল না এদিন।

মুহাম্মদ রিজওয়ানের মুলতান সুলতানকে হারিয়ে দিল ডেভিড ওয়ার্নারের করাচি কিংস। করাচি ন‍্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব‍্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২৩৪ রান করে মুলতান। সেই লক্ষ্যে ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় করাচি কিংস।

টস জিতে প্রথমে মুহাম্মদ রিজওয়ানের মুলতানকে ব্যাটিং করতে পাঠায় করাচি। সেখানেই পাকিস্তানের অধিনায়ক রিজওয়ান ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ৬৩ বলে শতরান কিন্তু খুব একটা ভালো পরিসংখ্যানও না এমন পিচে। মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৭ বলে ৪৪ এবং কামরান গুলাম ১৯ বলে ৩৬ রান করে মুলতানকে পৌঁছে দেন ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৪ রানে।

করাচি যখন বিশাল রান তাড়া করতে নামে, তখন শুরুর দিকে বোলাররা একটু সুবিধা পাচ্ছিল। তবে জেমস ভিনস খেলা ধরে নিতেই আর কিছুই করতে পারল না মুলতানের ডেভিড উইলে, ব্রেসওয়েল, ক্রিস জর্ডনরা। জেমস ভিনস ছিলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ভিনস ১৪২ রানের বিশাল পার্টনারশিপ তৈরি করেন খুশদিল শাহের সঙ্গে। ভিনসের দাপটে মাত্র ২ ওভার বোলিং করেই ডেভিড উইলি দেন ৪০ রান।

৪৩ বলে ১০১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ভিনস। এই ইংলিশ ক্রিকেটারকে যোগ্য সঙ্গ দেন খুশদীল শাহ। তিনি করেন ৩৬ বলে ৬০ রান। এদিকে করাচির টপ অর্ডারে ওয়ার্নার ব্যর্থ হলেও টিম সেইফার্ট ১৬ বলে ৩২ রান করেন। তাতই করাচির জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

আগামী মঙ্গলবার ফের পাকিস্তান সুপার লিগে মাঠে নামছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল, প্রতিপক্ষ লাহোর কালান্দার্স। অন্যদিকে বুধবার রিজওয়ানের মুলতান খেলবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জওয় ন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে: টিউলিপ

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি ও ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে, এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।’ খবর-বিবিসি

বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সোমবার লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনও এর জবাব দেয়নি।’

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে করা তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কিনা, সে-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ১০ কাঠা প্লট নেওয়ার অন্য অভিযোগে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। মামলায় শেখ হাসিনা, টিউলিপসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। 

এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।

টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেখানে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি। কেয়ার স্টারমার অফিসিয়াল চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিককে বলেন, ‘আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার সময় এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস আমাকে আশ্বস্ত করেছেন- তিনি আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ পাননি এবং আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ