ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী: গাছ উপড়ে ঘরে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু
Published: 13th, April 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া জকুরটল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ছকিলা বেগম (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী বাড়িতে না থাকায় নিজ ঘরে একাই ঘুমিয়ে পড়েন ছকিলা বেগম। রাত ৪টার দিকে প্রচণ্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড় উঠলে ঘরের পাশে থাকা বড় একটি গাছ উপড়ে ছকিলা বেগমের ঘরের ওপর পড়ে। গাছের চাপায় ঘরেই তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
ভাগ্নের সঙ্গে হাতাহাতি, হাসপাতালে মামার মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত রং মিস্ত্রির মৃত্যু
ঝড় থামার পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরের ওপর গাছ পড়ে থাকা দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গাছ সরিয়ে ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পায়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১৯০ বিঘা খাস জমি দখলে নিতে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় খাস খতিয়ানের ১৯০ বিঘা জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. মদিন মোল্লা (৫৫) উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামের মৃত ছকির মোল্লার ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিন জানা গেছে, বড় ধুনাইল গ্রামের ১৯০ বিঘা খাস খতিয়ানের জমি নিয়ে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হালিম ও জাফরের পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গত শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শাহজাদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
রোববার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মদিন মোল্লা নিহত হন। আহত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), ইনজামুল হক (২৬), আলতাব (৫৭), বাবলু মোল্লাসহ (৪৫) অন্তত ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাফরের পক্ষের মদিন মোল্লার মৃত্যুর খবরে হালিম পক্ষের লোকজন গ্রাম ছেড়ে চলে যান। এ সুযোগে জাফর পক্ষের লোকজন বিভিন্ন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করেও দু’পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
খতিয়ানের জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হালিম ও জাফর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী।
তিনি বলেন, শনিবারের সংঘর্ষ পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনলেও রোববারের সংঘর্ষে মদিন মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।