মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
Published: 13th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব ‘মাহা সাংগ্রাই’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা হয়েছে। আজ রোববার সকালে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ’।
সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া। শোভাযাত্রাটি চেঙ্গী স্কয়ার, শাপলা চত্বর, মহিলা কলেজ ঘুরে আপার পেরাছড়া মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে অংশ নেন মারমা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা। ঢাকঢোল, বাদ্যের তালে নেচে–গেয়ে শোভাযাত্রায় আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরা। শোভাযাত্রা শেষে পেরাছড়া মাঠে ১২০ জন প্রবীণ ব্যক্তিকে ‘মৈত্রী স্নান’ করানো হয়। স্নান শেষে তাঁদের বস্ত্রদান করা হয়েছে। মৈত্রী স্নান উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পহেলা বৈশাখে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা
ঢোলের তালে মুহুর্মুহু আঘাত, প্রতিরোধের খটাখট শব্দে মুখরিত হয়ে জমে উঠেছে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। চারদিকে উৎসুক জনতা ভিড় করে উপভোগ করে খেলাটি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে আনতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসন এ লাঠি খেলার আয়োজন করে।
সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ লাঠি খেলা। খেলায় লাঠি খেলার পাশাপাশি বুকের উপর ইট রেখে মাটি কাটার কোদাল দিয়ে আঘাত করে পরপর তিনটি ইট ভাঙা হয়। যা ছিল খেলার অন্যতম আকর্ষণ। উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আবাদপুর এবং পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রাম থেকে দক্ষ লাঠিয়ালরা খেলা প্রদর্শন করেন।
খেলা দেখতে আসা রুপক হোসেন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আধুনিক যুগে এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনকার প্রজন্ম ডিজিটাল মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এধরনের আয়োজন প্রতিনিয়ত হওয়া প্রয়োজন। খেলা দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি।
মনির হোসেন নামের এক লাঠিয়াল বলেন, আমাদের এ দেশীয় খেলাগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে প্রতিনিয়ত গ্রামগঞ্জে এধরনের লাঠি খেলা হতো। আমরা টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে খেলতাম। এখন আর আগের মতো খেলা হয় না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। এ খেলাগুলোকে রক্ষা করা দরকার।
আয়োজক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের এ আয়োজন। খেলাটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন অব্যাহত থাকবে।