সবাইকে বুঝিয়েছি, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে...
Published: 13th, April 2025 GMT
শুক্রবার সন্ধ্যা, ঢাকার একটি এলাকায় শুটিং করছেন শাকিব খান। রূপসজ্জাকক্ষে তখন পরবর্তী দৃশ্যের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই ফাঁকে ঈদের সিনেমার প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। ‘বরবাদ’ মুক্তির সেদিন ছিল ১৩তম দিন। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের উচ্ছ্বাসের খবর তাঁর কানেও পৌঁছে গেছে। শুটিং ইউনিটের রূপসজ্জা শিল্পী, কস্টিউম ডিজাইনার, পরিচালক থেকে শুরু করে ইউনিটের প্রায় সবাই ‘বরবাদ’ সিনেমার দর্শক চাহিদার কথা বলছিলেন। শাকিব খানও ছিলেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে।
ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে ‘বরবাদ’ দেশের ১২১ প্রেক্ষাগৃহে চলছে। ‘বরবাদ’ ছবি নিয়ে দর্শকের এই উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে শাকিব খানের। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘দর্শক থেকে শুরু করে হলমালিক, সহকর্মী, পরিচিতজনেরা সবাই আপডেট দিচ্ছেন। অনেকেই ফোন করে জানিয়েছেন, ঈদের সিনেমা নিয়ে এমন উৎসব তাঁরা আগে দেখেননি। দেশের বাইরে মুক্তির আগেও সেখানকার পরিচিতজনদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে। আমেরিকা থেকে কাছের মানুষজন টিকিটের জন্য কল করছেন। এটা ভীষণ ইতিবাচক দিক।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা
শামসুল আলমের বয়স ৬৫। এই বয়সে তিনি খেলতে নামেন হাডুডু। তার উদ্দীপনা দেখে এলাকার কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সবাই তাকে দিয়েছেন উৎসাহ। শুধু তিনি একা নন, তার মতো ষাটোর্ধ্ব দুই ডজন প্রবীণ নববর্ষের উৎসবকে রাঙাতে খেলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় হাডুডু খেলার উদ্বোধন করেন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ। খেলা শেষে অতিথিরা খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
প্রবীণ খেলোয়ার শাসসুল আলম বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাগো উৎসব। এদিন হাডুডু খেলবার পাইরা খুব ভালো লাগতাছে। জোয়ান বয়সে কত দুরান্তপানা করছি। আজক্যা সব বুইড়াড়া একসঙ্গে হাডুডু খেললাম, খুব ভালো লাগতেছে।”
আরো পড়ুন:
ড্রোন শোতে ঝলমলে ঢাকার আকাশ
ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
পরিবার নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের দাশড়া এলাকা থেকে হাডুডু খেলা দেখতে আসা তৌফিক হোসেন বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে আছে গ্রাম বাংলার অসংখ্য খেলাধুলা। আমার চার বছরের ছেলে খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছে। এ ধরনের গ্রামীন খেলাধুলার চর্চা আরো বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।”
খেলা দেখতে আসা ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যারা খেলতে নেমেছেন তাদের সবার বয়স ষাটের বেশি। এই বয়সেও তাদের খেলার প্রতি ঝোকই প্রমাণ করে হাডুডু আমাদের খেলা, পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই খেলা রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্য গোলাম কিবরিয়া সাঈদ বলেন, “সংস্কৃতি ও খেলাধুলার চর্চা সঠিকভাবে হলে মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ কমে যায়। নববর্ষের সঙ্গে গ্রামীন খেলাধুলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। হাডুডু খেলা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আরো বাড়াতে হবে।”
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ