অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর মেরুলে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’–এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

এ জন্য আজ রোববার সকালে বিহার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা সেখানে অবস্থিত প্রার্থনা হল পরিদর্শন করেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষকে রাঙাতে হাডুডু খেললেন মানিকগঞ্জের প্রবীণরা

শামসুল আলমের বয়স ৬৫। এই বয়সে তিনি খেলতে নামেন হাডুডু। তার উদ্দীপনা দেখে এলাকার কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে সবাই তাকে দিয়েছেন উৎসাহ। শুধু তিনি একা নন, তার মতো ষাটোর্ধ্ব দুই ডজন প্রবীণ নববর্ষের উৎসবকে রাঙাতে খেলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় হাডুডু খেলার উদ্বোধন করেন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ। খেলা শেষে অতিথিরা খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

প্রবীণ খেলোয়ার শাসসুল আলম বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাগো উৎসব। এদিন হাডুডু খেলবার পাইরা খুব ভালো লাগতাছে। জোয়ান বয়সে কত দুরান্তপানা করছি। আজক্যা সব বুইড়াড়া একসঙ্গে হাডুডু খেললাম, খুব ভালো লাগতেছে।” 

আরো পড়ুন:

ড্রোন শোতে ঝলমলে ঢাকার আকাশ

ডিআরইউতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

পরিবার নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের দাশড়া এলাকা থেকে হাডুডু খেলা দেখতে আসা তৌফিক হোসেন বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে আছে গ্রাম বাংলার অসংখ্য খেলাধুলা। আমার চার বছরের ছেলে খেলা দেখে আনন্দ পেয়েছে। এ ধরনের গ্রামীন খেলাধুলার চর্চা আরো বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।” 

খেলা দেখতে আসা ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যারা খেলতে নেমেছেন তাদের সবার বয়স ষাটের বেশি। এই বয়সেও তাদের খেলার প্রতি ঝোকই প্রমাণ করে হাডুডু আমাদের খেলা, পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতি। এই খেলা রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।” 

প্রধান অতিথির বক্তব্য গোলাম কিবরিয়া সাঈদ বলেন, “সংস্কৃতি ও খেলাধুলার চর্চা সঠিকভাবে হলে মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ কমে যায়। নববর্ষের সঙ্গে গ্রামীন খেলাধুলার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। হাডুডু খেলা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আরো বাড়াতে হবে।” 

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ