টাকা দিয়েও পছন্দের সিট পাননি ইমন, আনলেন হেনস্থার অভিযোগ
Published: 13th, April 2025 GMT
কলকাতার জনপ্রিয় গায়িকা মন চক্রবর্তী বিমানযাত্রায় সময় বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। গায়িকার অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়াকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও, নিজেদের পছন্দের সিট পাননি তিনি।
গত শনিবার ইন্দোরে শো করেন তিনি। আর সেখান থেকেই বিমানে দিল্লি যাওয়ার পথে ঘটল হেনস্তার মতো এই ঘটনা।
ইমন এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট নিয়েছিলাম আমরা। এমনকি পছন্দের সিটের জন্য অতিরিক্ত মূল্যও দেই। আর আপনাদের এমপ্লয়িরা সেই সিট দিয়ে দিল অন্য যাত্রীকে। এটা একদমই অনৈতিক আর গ্রহণযোগ্য নয়। ইন্দোর থেকে দিল্লি আসছি। বিরক্তিকর যাত্রা।’
ইমনের পোস্টের মন্তব্যঘরে আরও অনেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে হওয়া বিরূপ অভিজ্ঞতা আনলেন সামনে। একজন লেখেন, ‘যা খুশি তাই হচ্ছে’। অন্যজন লিখলেন, ‘গত মাসে আমাদের সঙ্গেও এরকম হয়েছে। আমরা দিল্লি থেকে কলকাতা আসছিলাম। আমরাও সিট পছন্দ করে অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সিটও অন্য যাত্রীকে দিয়ে দেওয়া হয় এভাবেই।’
একজন আবার ইমনকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘এই সমস্যাগুলো দেখেছি বেশি উচ্চশিক্ষিত এবং হাইপ্রোফাইল মানুষদের সঙ্গেই হয়। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের সঙ্গে আর হয় না। যদি কেউ এমন পোস্ট করে সেটা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। এমন সমস্যায় পড়বেন না, ইকোনমি ক্লাস ছেড়ে বিজনেস ক্লাসে ট্রাভেল করুন।’
এই মন্তব্যের জবাবও দেন ইমন। বিরক্তি নিয়ে লেখেন, ‘আপনাদের মতো ফ্রাস্ট্রেটেড লোকজন খালি এসবই ভাবে। একদম অসহ্য ও বিরক্তিকর। আমার ব্যক্তিগত সমস্যা আমি শেয়ার করেছি, আপনার অসুবিধা হলে আমার প্রোফাইল বা পেজে আসবেন না। আর আসলেও ফালতু ফুটেজ খাওয়া বন্ধ করুন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পছন দ
এছাড়াও পড়ুন:
১৯০ বিঘা খাস জমি দখলে নিতে সংঘর্ষ, নিহত ১
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় খাস খতিয়ানের ১৯০ বিঘা জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. মদিন মোল্লা (৫৫) উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বড় ধুনাইল গ্রামের মৃত ছকির মোল্লার ছেলে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিন জানা গেছে, বড় ধুনাইল গ্রামের ১৯০ বিঘা খাস খতিয়ানের জমি নিয়ে এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হালিম ও জাফরের পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গত শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শাহজাদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
রোববার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মদিন মোল্লা নিহত হন। আহত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), ইনজামুল হক (২৬), আলতাব (৫৭), বাবলু মোল্লাসহ (৪৫) অন্তত ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাফরের পক্ষের মদিন মোল্লার মৃত্যুর খবরে হালিম পক্ষের লোকজন গ্রাম ছেড়ে চলে যান। এ সুযোগে জাফর পক্ষের লোকজন বিভিন্ন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিষয়ে জানার চেষ্টা করেও দু’পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
খতিয়ানের জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হালিম ও জাফর পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী।
তিনি বলেন, শনিবারের সংঘর্ষ পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনলেও রোববারের সংঘর্ষে মদিন মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।