সাদামাটা আলুভর্তার স্বাদও বদলে যায় সামান্য শর্ষের তেলের জন্য। শর্ষের তেল দিয়ে ইলিশ রাঁধেন অনেকে। অনেকে সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবেও শর্ষের তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু নিয়মিত শর্ষের তেল খাওয়া কি ঠিক? এসব নিয়েই কথা হলো ফাতেমা আকতারের সঙ্গে। তিনি রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক।

পুষ্টির প্রয়োজনে

শর্ষের তেলে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি এমন এক ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আমাদের দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। শর্ষের তেল অন্য অনেক তেলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। মাঝেমধ্যে খানিকটা শর্ষের তেল দেওয়া খাবার খাওয়া হলে একজন সুস্থ মানুষের রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ খুব বেশি বাড়বে না। কারণ, এতে সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা তুলনামূলক কম। সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডই রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়ায়।

আরও আছে ভিটামিন ই

শর্ষের তেলে পাবেন ভিটামিন ই। এটি একটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহের ভেতর বহু পরিবর্তন হয়। ত্বকেও পড়ে বয়সের ছাপ। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন চলে আসে বয়সের আগেই। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আমাদের দেহের বয়সজনিত এসব পরিবর্তনকে খুব দ্রুত প্রকট হয়ে উঠতে দেয় না। তারুণ্য বজায় থাকে দীর্ঘদিন।

আরও পড়ুনমাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন০১ আগস্ট ২০২৪গরমে খাবারে রুচি

শর্ষের তেলের স্বাদ, ঝাঁজ ও ঘ্রাণ অন্যান্য তেলের চেয়ে একেবারেই আলাদা। গরমে খাবারে অরুচি হলে সামান্য শর্ষের তেল দেওয়া ভর্তা ছাড়াও এই তেল দিয়ে তৈরি আচার খেতে পারেন। ভিন্ন স্বাদ পাবেন। খাবার খেয়ে আরামও পাবেন।

ভালোতেই শেষ নয়.

..

শর্ষের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে তো জানলেন। তবে এর বেশ কিছু খারাপ দিকও আছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে এই তেল গ্রহণ করা উচিত নয়। আবার শর্ষের তেল সব ধরনের রান্নার উপযোগীও নয়। এসব বিষয়ও জেনে নেওয়া যাক।

শর্ষের তেলে ইউরোসিক অ্যাসিড থাকে। তাই দীর্ঘদিন ধরে শর্ষের তেলে তৈরি করা খাবার খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তা ছাড়া এই অ্যাসিডের কারণে যে কারও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। ফলে বাতের ব্যথার আশঙ্কা বাড়ে।

শর্ষের তেলে যতটা সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেটিও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর কারণে রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বাড়তে পারে।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শর্ষের তেল একটানা অনেক দিন ধরে গ্রহণ করা উচিত নয়।

শর্ষের তেল যদি খাঁটি না হয়, তাহলেও মুশকিল। ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো থাকলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।

ডুবোতেলে ভাজতে হয়—এমন পদ কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়, তা সেটি যে তেলেই ভাজা হোক না কেন। এমন পদে শর্ষের তেল ব্যবহার করা হলে সুঘ্রাণটাও থাকে না; বরং খানিকটা উৎকট গন্ধ হয়। খুব বেশি উত্তাপে রান্না করতে হয়—এমন পদে শর্ষের তেল ব্যবহার করলেও উৎকট গন্ধ হতে পারে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শর্ষের তেলের রান্না খেলে কী উপকার, কী ক্ষতি

সাদামাটা আলুভর্তার স্বাদও বদলে যায় সামান্য শর্ষের তেলের জন্য। শর্ষের তেল দিয়ে ইলিশ রাঁধেন অনেকে। অনেকে সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবেও শর্ষের তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু নিয়মিত শর্ষের তেল খাওয়া কি ঠিক? এসব নিয়েই কথা হলো ফাতেমা আকতারের সঙ্গে। তিনি রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক।

পুষ্টির প্রয়োজনে

শর্ষের তেলে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি এমন এক ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আমাদের দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। শর্ষের তেল অন্য অনেক তেলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। মাঝেমধ্যে খানিকটা শর্ষের তেল দেওয়া খাবার খাওয়া হলে একজন সুস্থ মানুষের রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ খুব বেশি বাড়বে না। কারণ, এতে সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা তুলনামূলক কম। সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডই রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়ায়।

আরও আছে ভিটামিন ই

শর্ষের তেলে পাবেন ভিটামিন ই। এটি একটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহের ভেতর বহু পরিবর্তন হয়। ত্বকেও পড়ে বয়সের ছাপ। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন চলে আসে বয়সের আগেই। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আমাদের দেহের বয়সজনিত এসব পরিবর্তনকে খুব দ্রুত প্রকট হয়ে উঠতে দেয় না। তারুণ্য বজায় থাকে দীর্ঘদিন।

আরও পড়ুনমাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন০১ আগস্ট ২০২৪গরমে খাবারে রুচি

শর্ষের তেলের স্বাদ, ঝাঁজ ও ঘ্রাণ অন্যান্য তেলের চেয়ে একেবারেই আলাদা। গরমে খাবারে অরুচি হলে সামান্য শর্ষের তেল দেওয়া ভর্তা ছাড়াও এই তেল দিয়ে তৈরি আচার খেতে পারেন। ভিন্ন স্বাদ পাবেন। খাবার খেয়ে আরামও পাবেন।

ভালোতেই শেষ নয়...

শর্ষের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে তো জানলেন। তবে এর বেশ কিছু খারাপ দিকও আছে। তাই দীর্ঘদিন ধরে এই তেল গ্রহণ করা উচিত নয়। আবার শর্ষের তেল সব ধরনের রান্নার উপযোগীও নয়। এসব বিষয়ও জেনে নেওয়া যাক।

শর্ষের তেলে ইউরোসিক অ্যাসিড থাকে। তাই দীর্ঘদিন ধরে শর্ষের তেলে তৈরি করা খাবার খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কিডনিতে পাথরও হতে পারে। তা ছাড়া এই অ্যাসিডের কারণে যে কারও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। ফলে বাতের ব্যথার আশঙ্কা বাড়ে।

শর্ষের তেলে যতটা সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, সেটিও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর কারণে রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা বাড়তে পারে।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শর্ষের তেল একটানা অনেক দিন ধরে গ্রহণ করা উচিত নয়।

শর্ষের তেল যদি খাঁটি না হয়, তাহলেও মুশকিল। ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো থাকলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।

ডুবোতেলে ভাজতে হয়—এমন পদ কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়, তা সেটি যে তেলেই ভাজা হোক না কেন। এমন পদে শর্ষের তেল ব্যবহার করা হলে সুঘ্রাণটাও থাকে না; বরং খানিকটা উৎকট গন্ধ হয়। খুব বেশি উত্তাপে রান্না করতে হয়—এমন পদে শর্ষের তেল ব্যবহার করলেও উৎকট গন্ধ হতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ