স্নাতক ও ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা পাবেন উপবৃত্তি, মিলবে ১০,০০০
Published: 13th, April 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করবে। স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের বা ডিগ্রি প্রথম বর্ষে (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধাদির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের বা ডিগ্রির শুধু প্রথম বর্ষে (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের) অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য–এ লিংকে তে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আগামী ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেমের ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে লিংকের সিস্টেম ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জানতে ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুনকুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ ০২ এপ্রিল ২০২৫প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে (ডিগ্রি ও ফাজিল ১ম বর্ষ) শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্য সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সময়সূচি ও নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সফটওয়্যারে নিম্নে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে সফটওয়্যারে এন্ট্রিকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও বাছাই কমিটির রেজুলেশন অনলাইনে সফটওয়্যারে আপলোড করে PMEAT'র ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে forward করার তারিখ ও সময় ১৬ মে ২০২৫ সকাল ৯টা থেকে ২৭ মে রাত ১১:৫৯ টা পর্যন্ত। এই সময়ের পরে কোনো শিক্ষার্থীর আবেদন এন্ট্রি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে PMEAT'র ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে forward করা যাবে না।
উপবৃত্তি প্রদানের নিমিত্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরমে শিক্ষার্থী/পিতা/মাতার একাউন্ট নম্বর হিসাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে শুধু সচল ‘নগদ' একাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করতে হবে।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইট এবং PMEAT'র ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।
স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তি সংক্রান্ত হেল্পলাইন 02-55000428, 01778964156 ও 01724596676 (অফিস চলাকালীন সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা পর্যন্ত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো)।
আবেদন শেষ কবে—আগ্রহীরা ১৫ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনপ্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ, মাসে মিলবে ২৫০০০০৩ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ র থ দ র উপব ত ত শ ক ষ বর ষ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নাফিজ সরাফতসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পদ্মা ব্যাংক থেকে ৫ কোটি টাকার ‘টাইম লোন’ নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তার অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাকিব উদ্দিন মিনহাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন, ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দীন মোনেম, পরিচালক ফারহানা মোনেম এবং পদ্মা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম।
এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে আবদুল মোনেম লিমিটেডের নামে ছয় মাস মেয়াদি ৫ কোটি টাকার একটি ‘টাইম লোন’ অনুমোদন করা হয়। কিন্তু আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণের শর্ত ভঙ্গ করে এ অর্থ ব্যবসার মূলধন হিসেবে ব্যবহার না করে অন্য ঋণের দায় মেটাতে ব্যয় করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আবদুল মোনেম লিমিটেড ২০২২ সালের ২৯ মার্চ পদ্মা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখায় একটি শর্ট নোটিশ ডিপোজিট (SND) হিসাব খুলে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। অথচ এর আগেই ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২৫ কোটি টাকার কম্পোজিট ঋণের জন্য আবেদন করেন। ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৮৪তম সভায় এ ঋণ অনুমোদন পায়। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ২০ কোটি টাকার এলসি ও ৫ কোটি টাকার টাইম লোনসহ মোট ২৫ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
এরপর ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর আরও একবার ৫ কোটি টাকার ছয় মাস মেয়াদি টাইম লোনের জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ৫৫তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় (২৭ ডিসেম্বর) তা অনুমোদিত হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর তা বিতরণ করা হয়। ঋণের শর্ত অনুযায়ী, অর্থটি গুঁড়াদুধ, কাঁচামাল, প্যাকেজিং উপকরণ ও যন্ত্রাংশ কেনার মাধ্যমে আইসক্রিম ইউনিট চালু রাখতে ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, এই অর্থ অন্য খাতে স্থানান্তর করে অন্য ঋণের দায় পরিশোধে ব্যবহার করা হয়। ঋণের নির্ধারিত পরিশোধের সময়সীমা ছিল ২০২৪ সালের জুন, তবে গ্রাহক তা সময়মতো পরিশোধ করেননি এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনটি সন্দেহজনক নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ঋণের অর্থ পরিশোধ করে ঋণটি সমন্বয় করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু না হলে এই অর্থ আত্মসাতের প্রকৃত সম্ভাবনা ছিল।