দুই বছর আগে রাজধানীর কদমতলী থানার খালপাড় এলাকায় গায়ে গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মিজান সরদার নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রোববার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায় ঘোষণার আগে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার বাবুরহাট গ্রামের মৃত আওয়াল সরদারের ছেলে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মীম আক্তার রুপার সঙ্গে ঘটনার ১২ বছর আগে মিজান সরদারের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কদমতলীর খালপাড়ের ‌‌‘ইসলাম টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় বসবাস করতেন তারা। যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী তার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। এর আগে আসামি মিজান তার শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি এবং সাত লাখ টাকা মূল্যের একটি দোকান যৌতুক হিসেবে নেন।

২০২৩ সালের ৬ মে রাত ১০ টার দিকে মিজান সরদার ভুক্তভোগী রুপার কাছে আরও যৌতুকের টাকা দাবি করলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে মিজান তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। রাত তিনটার দিকে যখন ভুক্তভোগী ও তাদের সন্তানরা ঘুমাচ্ছিল তখন মিজান সরদার একটি ফ্রাইং প্যানে সয়াবিন তেল গরম করে তার ওপর ঢেলে দেন। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী চিৎকার করেন। এ সময় বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার গিয়ে ভুক্তভোগী ও তার সন্তানদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়। যেখানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৯ মে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে ২৫ মে ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী ১৪ মে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেন। একই আদালতে আসামি মিজান সরদার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ একই বছরের ৩১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার বিচার চলার সময় আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত র ক হত য হত য ম জ ন সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিম মল্লিককে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধানের পদ থেকে অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ডিএমপি কমিশনারের দপ্তর থেকে শনিবার (১২ এপ্রিল) জারি করা এক আদেশে তাকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক প্রয়োজনে অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিককে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর প্রায় এক মাস ফাঁকা ছিল ডিএমপির ডিবিপ্রধানের চেয়ার। এরপর ১ সেপ্টেম্বর ওই সময়ের ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সই করা এক অফিস আদেশে রেজাউল করিম মল্লিককে ডিবিপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।  

রেজাউল করিম মল্লিক ১৭তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ডিবিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রসবারে মেসির দুই ফ্রি কক, অফসাইডে বাতিল সুয়ারেজের গোল
  • রিতুর ব্যাটে নাটকীয় জয়, বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিল আয়ারল্যান্ড
  • নাটকের প্রদর্শনী হবে, কর্মসূচি স্থগিত করেছেন নাট্যকর্মীরা
  • শিল্পীদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়: জেমস
  • ভালো সিনেমা নিয়ে নিশোর প্রশ্ন, জানালেন পরিকল্পনার কথা
  • ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিম মল্লিককে
  • যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে গরম তেল ঢেলে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
  • গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড