শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের রাজমিস্ত্রী আরিফুল ইসলাম হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সাত বছর ধরে একটি হেলিকপ্টার তৈরি করায় এ নিয়ে এলাকায় তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ করে তা আকাশে ওড়াতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। 
  
আরিফুল মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেনের ছেলে। বাড়িতে ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হেলিকপ্টার। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নানা সরঞ্জাম। হেলিকপ্টার তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৮ সাল থেকে সাত বছর ধরে দৈনিক আয়ের কিছু অংশ থেকে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও ৫০ হাজার টাকার দরকার বলে জানান তিনি। টাকার ব্যবস্থা হলে আগামী ২০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে হেলিকপ্টারটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি। 

মাটিয়ান গ্রামের জাকারিয়া জুয়েল বলেন, ছোটবেলা থেকে আরিফুল অনেক কিছু তৈরি করতেন। দরিদ্র আরিফুল তাঁর উপার্জনের টাকা দিয়ে সরঞ্জাম কিনে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবেন। 

আরিফুলের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে আমরা জীবনযাপন করি। আমার স্বামী তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে উপার্জনের টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার তৈরি করছেন। এতে আমাদের কষ্ট হলেও আমরা খুশি।

কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। 

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার তৈরি করায় আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। এ কাজে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনে তাঁকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ বগঞ জ আর ফ ল করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে চলছে নববর্ষের কনসার্ট

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে কনসার্ট শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখের দিন আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গানের দল বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ কনসার্ট শুরু হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ কনসার্ট ও ড্রোন শোর আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ও ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ উৎসব সাংগ্রাইয়ের একটি গান পরিবেশন করে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুলের খুদে শিল্পীরা। পরে তারা ‘মন কী যে চায় বলো, যারে দেখি লাগে ভালো’ গানটি পরিবেশন করে।

এরপর মঞ্চে ওঠেন রাফি অ্যান্ড রকারস (আর অ্যান্ড আর) ব্যান্ড দলের সদস্যরা। তারা ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’, ‘সুন্দরী চলেছে একা পথে’র মতো দর্শকপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। পরে কণ্ঠশিল্পী পারসাসহ কয়েকজন শিল্পী সম্মিলিত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করেন।

কনসার্টে সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে ওঠেন মিঠুন চক্র ও জালাল আহমেদ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফ মাইনর, আতিয়া আনিসা, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, আরজ আলী ওস্তাদ, সাগর দেওয়ান, পারসা, অ্যাশেস ব্যান্ড ও জাহিদ নিরবের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ড্রোন শো হবে সন্ধ্যা সাতটায়।

আরও পড়ুনমানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ড্রোন শো ও কনসার্টে যা থাকছে১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ