শর্করার একটি মূল উৎস হলো ভাত। গরম ভাতে যে পুষ্টি বা শর্করা থাকে পান্তা ভাতে একই মাত্রায় থাকে না। যদিও পান্তা ভাত খাওয়ার চল শহরাঞ্চলে নেই বললেই চলে। কিন্তু বৈশাখের প্রথম দিন শহরের মানুষও পান্তা ভাত খায়। অনেকে গরম ভাতে পানি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলেন, আবার অনেকে ওভার নাইট রাখেন। 

ডা. ফেরদৌস খন্দকার, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘ভালো ব্যাপার হচ্ছে, তিন থেকে চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া। এর চেয়ে বেশি সময় ভিজিয়ে রেখে খাওয়া কিছুটা ক্ষতিকর। পান্তা ভাতে পুষ্টি রয়েছে তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া উচিত। মাত্রাতিরিক্ত পান্তাভাত খাওয়া ঠিক নয়। এটি ভেজানোর পরে এর প্রো-বায়োটিক কাজ আছে। অর্থাৎ এতে কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যেটি আমাদের অন্ত্রের জন্য ভালো। ভেজানোর ফলে আয়রন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল বেড়ে যায়। সাধারণ ভাতের চেয়ে পান্তা ভাতে পুষ্টি বেড়ে যায়। পঁচানোর কারণে এতে অ্যালকোহল তৈরি হয়। পান্তা ভাত খাওয়ার পরে ভালো ঘুম হয়। তবে ভাতে থাকা সোডিয়াম কমে যায়। ফলে যারা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন তাদের জন্য এটি ভালো যদি লবণ যুক্ত করা না হয়। পান্তা ভাত খেলে হজম বাড়ে।’’

দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে ‘কলিফর্ম’ নামক ব্যাকটেরিয়া জমতে থাকে। যে কারণে দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে ভিজিয়ে রাখা ভাত খেলে ডায়রিয়াতে ভুগতে হতে পারে। ইনফেকশন তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। 

আরো পড়ুন:

দ্রুত খাবার খেলে স্বাস্থ্যের ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে

‘মাইগ্রেন’ কি ভয়াবহ কোনো রোগ?

ডা.

ফেরদৌস খন্দকার আরও বলেন, ‘‘তিন, চার বা ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখা ভাত স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। এর বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রাখা ভাত খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।’’

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ