প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক হুইলচেয়ার ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পাকিস্তান হুইলচেয়ার ক্রিকেট কাউন্সিল এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আমন্ত্রণের খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মহসিন।

এই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে হুইলচেয়ার ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ম্যাচগুলো হবে লাহোর ও ফয়সালাবাদে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, কেনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—এই আটটি দেশ এই বিশ্বকাপে অংশ নেবে। প্রতিটি দল ২১ সদস্যের একটি স্কোয়াড পাঠাবে, যার মধ্যে থাকবেন ১৫ জন খেলোয়াড়, ৫ জন কর্মকর্তা এবং ১ জন আম্পায়ার।

চলছে প্রস্তুতি।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ইলচ য় র ক র ক ট ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়

পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।

এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।

তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।

এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ