ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা, আগামী সপ্তাহে আবার বসতে সম্মত
Published: 13th, April 2025 GMT
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে। গতকাল শনিবার ওমানে এ আলোচনা হয়। তবে বৈঠকে প্রত্যক্ষ নয়, বরং ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়েছে। ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন। আগামী সপ্তাহে উভয় পক্ষ আবার বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে।
এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল তেহরানের বাড়তে থাকা পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলা করা— যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনো সমঝোতা না হয় তবে ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করা হতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি আছি। আর যদি আগামী সপ্তাহে এই ভিত্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি, তবে সেটি একটি বড় অগ্রগতি হবে এবং আমরা সেই ভিত্তির ওপর বাস্তব আলোচনা শুরু করতে পারব। তবে সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা "শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে" হয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, বন্দী বিনিময়, ও কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ।
আরাকচি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদ থেকে এ পর্যন্ত এটি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আলোচনা। ‘উৎপাদনশীল, শান্তিপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবেশে’ এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষ আগামী শনিবার আবার আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই স্বল্পমেয়াদে একটি সমঝোতা চায়। আমরা শুধু আলাপ-আলোচনার জন্য আলোচনা করতে চাই না।’
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভেন উইক ওমানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আনা এসক্রোগিমা এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল, তবে আজ বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি অগ্রগতি।” উভয় পক্ষ আবার আগামী শনিবার সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছে।
ট্রাম্প গত সোমবার হঠাৎ ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ওমানে আলোচনা শুরু করবে। এর আগেও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে ওমান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ ভারত’
বাংলাদেশের সাথে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায় ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেছেন। খবর এএনআই।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সাথে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উন্মুখ। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে।”
জয়সওয়াল বাণিজ্য সমস্যা এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কেও কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বাণিজ্যিক সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিয়েছিলাম।”
তিনি জানান, বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করলে নেপাল ও ভুটানের সাথে ঢাকার বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না।
জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে যে যানজট দেখা যাচ্ছে তার কারণে আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তবে আমি আপনাদের এটাও মনে করিয়ে দেব যে, এই ব্যবস্থাগুলো ঘোষণা করার আগে বাংলাদেশের দিকে কী কী ঘটনা ঘটেছে তা দয়া করে একবার দেখে নিন। আঞ্চলিক একীকরণ ও বাণিজ্য সম্পর্কে আপনার ইস্যু, ট্রান্সশিপমেন্ট সম্পর্কিত আমাদের ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির উপর প্রভাব ফেলবে না। সুতরাং, আমাদের মনে আছে যে আঞ্চলিক বাণিজ্যকে উন্নীত করা দরকার। তাই আমি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এভাবেই দেখব। আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়ে আসছি।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি ভারত লক্ষ্য করেছে বলে জানান জয়সওয়াল।
ঢাকা/শাহেদ