স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
Published: 13th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো.
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে যুবদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
আজ রোববার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মঠবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম গাজী। এ সময় তিনি বলেন, রাজাপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় পদ স্থগিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হালিম গাজী বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার মঠবাড়ি মাহামুদিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় সভায় তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে লাঞ্ছিত করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেন উপজেলা বিএনপির দলীয় পদ স্থগিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকন ও তাঁর সহযোগীরা। ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
হালিম গাজী আরও বলেন, রফিকুল ইসলাম মারধর ও হুমকির বিষয়ে অবগত ছিলেন। মাদ্রাসার কক্ষে নিয়ে মারধরের ঘটনা তাৎক্ষণিক রফিকুল ইসলামকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে নাসিম আকনের পক্ষে অবস্থান নেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিভাগীয় সাংগঠনিক এবং জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন হালিম গাজী।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নাসিম আকন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।