ভাইয়ের সামনে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 12th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আবদুল কাদের মিলন (৩৬) নামে যুবলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন চরহাজারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাঈলের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বজন জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মিলন বাড়ি থেকে চলে যান। এর পর তিনি সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করেন। চার দিন আগে তিনি দেশে ফেরেন।
মিলনের ছোট ভাই আবদুর রহিম বলেন, ‘আমি অটোরিকশাচালক। রাতে অটোরিকশায় বড় ভাইকে ফেনীর দাগনভূঞা থেকে নিয়ে গ্রামে ফিরছিলাম। পথে রাত ৯টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের চৌধুরীরহাট এলাকায় একটি মোটরসাইকেল আমাদের পিছু নেয়। একই ইউনিয়নের পোলের গোড়া এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেল আরোহীরা পথরোধ করে। পরে আমার ভাইকে অটোরিকশা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামায় তারা। সেখান থেকে মারতে মারতে পার্শ্ববর্তী এতিমখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আরও কয়েকজন মিলে তাঁকে পেটাতে থাকে। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও মারধর করে তারা।’
আবদুর রহিম জানান, পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ৩টার দিকে মিলনের মৃত্যু হয়।
মিলনের স্ত্রী জুলেখা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে এলাকার মেম্বার যুবদল নেতা সুমন ও মাঈন উদ্দিনের যোগাযোগ ছিল। তারা এলাকায় ফেরার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি বাড়িতে আসেন। তাঁকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির লোক হত্যা করেছে।’
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির বেলায়েত হোসেনের দাবি, এ ঘটনায় জামায়াত কিংবা ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত নয়। অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন বলেন, এলাকার লোক মিলনকে হত্যা করেছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, এ ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ১ নম্বর সেক্টর থেকে গতকাল দেলোয়ার হোসেন নয়ন নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন উপজেলার খৈসাইর এলাকায় এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর সদরের পূর্ব চৌপল্লী এলাকায় সন্ত্রাসীর গুলিতে রুবেল হোসেন নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রুবেল সদর উপজেলার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য উপজ ল র এল ক য় এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
অভিষেকের ‘দানব’ হয়ে ওঠার ম্যাচে যত রেকর্ড
রান পাচ্ছিলেন না অভিষেক শর্মা। এর আগের ৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৪ রানের। রান না পাওয়ার সব আক্ষেপ গতকাল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মিটিয়েছেন এই ওপেনার। খেলেছেন ৫৫ বলে ১৪১ রানের ইনিংস। তাঁর এই সেঞ্চুরিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২৪৬ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ম্যাচ জিতেছে। আর তাতে অনেক রেকর্ডের তালিকায় ঢুকে গেছে ম্যাচটি। যেসব রেকর্ড হলো সেটি দেখে নেওয়া যাক—১৪১আইপিএলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।২৪৬আইপিএলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে চতুর্থ। আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড পাঞ্জাব কিংসের। ২০২৪ সালে কলকাতার বিপক্ষে ২৬২ রান তাড়া করেছিল পাঞ্জাব।২৪৫আইপিএলে আগে ব্যাট করে এটি পাঞ্জাব কিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দুই ইনিংস মিলিয়ে দ্বিতীয়।১০গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০ ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন অভিষেক শর্মা। হায়দরাবাদের হয়ে এক ইনিংসে ৮টি করে ছক্কা মেরেছেন ৬ জন।২৪অভিষেক কাল সব মিলিয়ে বাউন্ডারি মেরেছেন ২৪টি। আইপিএলে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মেরেছেন শুধু ক্রিস গেইল। ২০১২ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩০টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন গেইল। যশস্বী জয়সোয়ালও ২০২৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২৪টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন।১৯কাল অভিষেক ফিফটি পেয়েছেন ১৯ বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোনো ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। আইপিএলে ২০ বলের কম খেলে অভিষেক ফিফটি করেছেন ৩ বার। এর চেয়ে বেশিবার ২০ বলের কমে আইপিএলে ফিফটি করেছেন শুধু নিকোলাস পুরান।৪০বলের দিক থেকে আইপিএলে এটি পঞ্চম দ্রুততম সেঞ্চুরি। ভারতীয়দের মধ্যে এটি তৃতীয় দ্রুততম। তবে অভিষেকই প্রথম ব্যাটসম্যান, যাঁর ৪০ বল বা এর নিচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩টি সেঞ্চুরি আছে।১৭১অভিষেক ও ট্রাভিস হেডের ১৭১ রানের ওপেনিং জুটি হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টোর। ২০১৯ সালে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে ১৮৫ রান তুলেছিলেন ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টো।‘ট্রাভিষেক’ জুটি কাল তুলেছে ১৭১ রান