ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানিয়েছে।

ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেকুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শোভাযাত্রার মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা প্রমাণ করে, এত বড় একটি আয়োজনকে কেন্দ্র করে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বর্ষবরণের আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় এবং জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুনচারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ১৪ ঘণ্টা আগে

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিবছর চারুকলার নির্দিষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সম্মিলিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এবার ঐতিহাসিক এই র‍্যালির নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে চারুকলার শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনসমূহের মতামত নেওয়া হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে বৈশাখ উদ্‌যাপনকে কেন্দ্র করে নানাভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ দেখা গেছে। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না ছাত্রফ্রন্ট।

আরও পড়ুনআনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুনের প্রতিবাদে চারুকলার সামনে মানববন্ধন২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র কল

এছাড়াও পড়ুন:

পারমাণবিক চুক্তি: ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ আলোচনা হয়েছে। গতকাল শনিবার ওমানে এ আলোচনা হয়।

তবে বৈঠকে প্রত্যক্ষ নয়, বরং ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়েছে। ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বার্তা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন। আগামী সপ্তাহে উভয় পক্ষ আবার বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে। খবর রয়টার্স

এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল তেহরানের বাড়তে থাকা পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলা করা— যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনো সমঝোতা না হয় তবে ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করা হতে পারে। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি আছি। আর যদি আগামী সপ্তাহে এই ভিত্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি, তবে সেটি একটি বড় অগ্রগতি হবে এবং আমরা সেই ভিত্তির ওপর বাস্তব আলোচনা শুরু করতে পারব। তবে  সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা "শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে" হয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, বন্দী বিনিময়, ও কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ।

আরাকচি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদ থেকে এ পর্যন্ত এটি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আলোচনা। ‘উৎপাদনশীল, শান্তিপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবেশে’ এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষ আগামী শনিবার আবার আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই স্বল্পমেয়াদে একটি সমঝোতা চায়। আমরা শুধু আলাপ-আলোচনার জন্য আলোচনা করতে চাই না।’

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভেন উইক ওমানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আনা এসক্রোগিমা এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্বাস আরাকচিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল, তবে আজ বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি অগ্রগতি।” উভয় পক্ষ আবার আগামী শনিবার সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছে।

ট্রাম্প গত সোমবার হঠাৎ ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ওমানে আলোচনা শুরু করবে। এর আগেও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে ওমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ