আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
Published: 12th, April 2025 GMT
‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।
বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান।
মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি।
মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব ম ঘন র ব আম র ম য় বদর ল
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে চুল ঝরা কমাতে উপকারী ঘরোয়া ৩ মাস্ক
গরমে শরীরের পাশাপাশি মাথার ত্বকও ঘামে। এর ফলে চুল ঝরা বাড়ে। গরমে ঘেমে আর্দ্রতা হারিয়ে চুল নির্জীব হয়ে পড়ে। মাথার ত্বকের ঘর্মাক্ত ভাব কমাতে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করেন। ঘন ঘন শ্যাম্পু করার চেয়ে এই সময়ে চুলের যত্ন নিতে ঘরোয়া কিছু মাস্কের উপর ভরসা করতে পারেন। এতে চুল থাকবে প্রাণবন্ত, ঝরঝরে।
দই, মধু, ডিমের মাস্ক
দই কন্ডিশনার হিসাবে খুবই কার্যকরী। ডিম চুলের ফলিকল শক্ত করতে ভূমিকা রাখে। রুক্ষ চুল মসৃণ করতে মধুর জুড়ি নেই। গরমে চুল ভালো রাখতে একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তার মধ্যে ৬ চামচ টক দই এবং ২ চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ঝরা কমবে।
কলা, অ্যাভোকাডো মাস্ক
রুক্ষ চুল মসৃণ করতে কলা, অ্যাভোকাডো মাস্কের তুলনা নেই। দুটি পাকা কলার সঙ্গে অর্ধেকটা পাকা অ্যাভোকাডো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া মজবুত এবং শক্তিশালী হবে।
ডিম,ক্যাস্টর অয়েল, মধু
একটা ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু,এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চুলে মেখে শাওয়ার ক্যাপ পরে মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। অ্যাপল সিডার ভিনেগার দিয়ে কন্ডিশনিং করুন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল ঝরা কমবে, চুল মসৃণও হবে।