বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাষান্ড সৎ ভাই ও তার স্ত্রী সন্ত্রাসী হামলায় প্রবাস ফেরৎ বড় ভাই জহিরুল ইসলাম জনি (৪০) রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে বড় বোন রিনা বেগম (৪৮) ও ভাগ্নিা ইফাত (১৭) আহত হয়।

জখমপ্রাপ্ত প্রবাস ফেরৎ জহিরুল ইসলাম জনি  বন্দর থানার এইচ এম সেন রোডস্থ রাজবাড়ি বালুর মাঠ এলাকার মোবারক মোল্লার ছেলে। শনিবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় বন্দর রাজবাড়ি বালুর মাঠে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বড় ভাই বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সৎভাই ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ওরফে রোহান ও তার স্ত্রী শাহারিয়া তাসনিম শিখাসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত  আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার এইচ এম সেন রোডস্থ রাজবাড়ি বালুর মাঠ এলাকার মোবারক মোল্লার ছেলে জহিরুল ইসলাম জনি দীর্ঘ দিন ধরে মালেশিয়া প্রবাসে জীবন যাপন করে  সম্প্রতি দেশে আসে।

প্রবাস ফেরৎ বড় ভাই  জহিরুল ইসলাম জনি প্রবাসে থাকাকালিন সময়ে  সরল বিশ্বাসে তার সৎ ভাই খলিলুল্লাহ ওরফে রোহান ও তার পরিবারের নিকট নগদ ১৮ লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্নালংকার জমা রাখে।

এর ধারাবাহিকতা শনিবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় সন্ত্রাসী ছোট ভাই ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ ওরফে রোহানের হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগন প্রবাস ফেরৎ বড় ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। ওই সময় জহিরুল ইসলাম জনি গালাগালি করতে নিষেধ করলে ওই সময় পাষান্ড সন্ত্রাসী ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ওরফে রোহান ক্ষিপ্ত হয়ে বাটান মোবাইল দিয়ে চোখে সজোরে আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

ওই সময় সৎ ভাইয়ের স্ত্রী শাহারিয়া তাসনিম শিখাসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী প্রবাস ফেরৎ বড় ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্য লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। ওই সময় চিৎকারের শব্দ পেয়ে বড় বোন রিনা বেগম ও ভাগ্নিা ইফাত এগিয়ে আসলে উল্লেখিত হামলাকারীরা তাদেরকে পিটিয়ে জখম করে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

পরে স্থানীয়রা জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সৎ ভ ই

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানায় মামলা করেছিলেন তার মা। এ ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো তারা মোবাইল ফোনে কল করে মেয়েটির মা-বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি, মামলা তুলে না নিলে তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলছে। এ ঘটনায় পরিবারটি ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। 

ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে পাশের বারেন্ডা গ্রামের জান্নাতুল মোল্লা প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ১০-১২ জন সশস্ত্র সহযোগী নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হানা দেয় জান্নাতুল। তার মাকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে। 

ঘটনার দিনই কাশিমপুর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩ এপ্রিল রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল ওই থানায় অপহরণ মামলা করেন মেয়েটির মা। এতে জান্নাতুল মোল্লা (২৬), তার বাবা সফিউদ্দিন মোল্লা (৬০), আফাজ উদ্দিন আফু (৫০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), হিমেল হোসেনের (২৬) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। 

মামলার বাদীর ভাষ্য, আসামি ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই ফোনে ও সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। তা না করলে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা মামলার সাক্ষীদেরও নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। পুলিশও অজ্ঞাত কারণে আসামি গ্রেপ্তার করছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, অপহরণে জড়িত পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও বিত্তবান। তাই হয়তো পুলিশ ধরতে আগ্রহী নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ৪ এপ্রিল অপহরণের মামলা হয়। জানতে পেরেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ