বাগেরহাটে অপহৃত শিশু কুষ্টিয়ার পোড়াদহে উদ্ধার
Published: 12th, April 2025 GMT
বাগেরহাট থেকে অপহৃত তিন বছরের শিশুকে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেল স্টেশন থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম সিনথিয়া আহম্মেদ শিফা। সে খুলনা জেলার ফুলতলা থানার উত্তর ডিহি এলাকার শাওন আহম্মেদের মেয়ে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কামরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় জীবন ইসলাম হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবক নীলফামারী সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়া চরচড়াবাড়ী এলাকার মৃত হেদায়েতুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার শুভদিয়ায় অবস্থিত নানাবাড়ি এলাকা থেকে শিশু সিনথিয়া আহম্মেদ শিফা নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির নানা। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি দল অভিযানে নামে। এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেল স্টেশন থেকে শিফাকে উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কামরুল ইসলাম বলেন, “উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার মায়ের কাছে এবং আটককৃত ওই যুবককে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবক অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি
স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানায় মামলা করেছিলেন তার মা। এ ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো তারা মোবাইল ফোনে কল করে মেয়েটির মা-বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি, মামলা তুলে না নিলে তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলছে। এ ঘটনায় পরিবারটি ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়।
ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে পাশের বারেন্ডা গ্রামের জান্নাতুল মোল্লা প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ১০-১২ জন সশস্ত্র সহযোগী নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হানা দেয় জান্নাতুল। তার মাকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে।
ঘটনার দিনই কাশিমপুর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩ এপ্রিল রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল ওই থানায় অপহরণ মামলা করেন মেয়েটির মা। এতে জান্নাতুল মোল্লা (২৬), তার বাবা সফিউদ্দিন মোল্লা (৬০), আফাজ উদ্দিন আফু (৫০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), হিমেল হোসেনের (২৬) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদীর ভাষ্য, আসামি ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই ফোনে ও সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। তা না করলে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা মামলার সাক্ষীদেরও নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। পুলিশও অজ্ঞাত কারণে আসামি গ্রেপ্তার করছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, অপহরণে জড়িত পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও বিত্তবান। তাই হয়তো পুলিশ ধরতে আগ্রহী নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ৪ এপ্রিল অপহরণের মামলা হয়। জানতে পেরেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।