সাত বছরের ছেলেকে রেখে পালিয়েছেন মা। ছোট্ট শিশু না বুঝে সারাদিন খুঁজে বেড়ায় মাকে। তাই পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে ছেলের হাত দিয়ে মায়ের শ্রাদ্ধ করিয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই নারীর পরিবারের সদস্যরাও। এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডের দরখোলা এলাকায়।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, ওই গৃহবধূ চলতি বছরের এপ্রিলে নিখোঁজ হয়। পরে তারা জানতে পারেন তাদের বউমা অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছেন। এছাড়া ওই গৃহবধূ মোবাইলে জানিয়েছেন, তিনি আর সংসারে ফিরবেন না। এমনকি সন্তানের দায়িত্বও নেবেন না।   

ওই গৃহবধূর শাশুড়ি জানান, বউমাকে না পেয়ে নাতি সারাদিন তাকে খুঁজে বেড়ায়। মাকে না পেয়ে খাওয়া, ঘুম ত্যাগ করেছে সে। এ অবস্থায় তাকে বুঝানো হয়েছে, তার মা এক্সিডেন্টে মারা গেছে, তাই সে আর ফিরবে না। এ বিষয়টি আরও জোরালো করতে তার জীবিত মায়ের শ্রাদ্ধ করানো হয়। গৃহবধূর বাবার বাড়ির সম্মতিতেই এই শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানায় মামলা করেছিলেন তার মা। এ ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো তারা মোবাইল ফোনে কল করে মেয়েটির মা-বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি, মামলা তুলে না নিলে তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলছে। এ ঘটনায় পরিবারটি ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। 

ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে পাশের বারেন্ডা গ্রামের জান্নাতুল মোল্লা প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ১০-১২ জন সশস্ত্র সহযোগী নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হানা দেয় জান্নাতুল। তার মাকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে। 

ঘটনার দিনই কাশিমপুর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩ এপ্রিল রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল ওই থানায় অপহরণ মামলা করেন মেয়েটির মা। এতে জান্নাতুল মোল্লা (২৬), তার বাবা সফিউদ্দিন মোল্লা (৬০), আফাজ উদ্দিন আফু (৫০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), হিমেল হোসেনের (২৬) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। 

মামলার বাদীর ভাষ্য, আসামি ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই ফোনে ও সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। তা না করলে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা মামলার সাক্ষীদেরও নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। পুলিশও অজ্ঞাত কারণে আসামি গ্রেপ্তার করছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, অপহরণে জড়িত পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও বিত্তবান। তাই হয়তো পুলিশ ধরতে আগ্রহী নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ৪ এপ্রিল অপহরণের মামলা হয়। জানতে পেরেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ