Risingbd:
2025-04-12@23:42:54 GMT

অপূর্ব-সাবিলার ‘ভুল সবই ভুল’

Published: 12th, April 2025 GMT

অপূর্ব-সাবিলার ‘ভুল সবই ভুল’

গল্পটা এক বিবাহিত দম্পতির। যাদের সংসারে দিনরাত খুনসুটি লেগেই থাকে। বিয়ের বছর না যেতেই স্ত্রী সাবিলা নূর অনেকটা বুঝে ফেলে তার স্বামী অপূর্ব বেগুণের মতো, যার কোনো গুণ নেই! এমনকি বউয়ের জন্মদিনটা পর্যন্ত সে মনে রাখতে পারে না।

দাম্পত্য জীবনের নানাদিকের এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘ভুল সবই ভুল’। ইমদাদ বাবুর গল্পে নাটকটি পরিচালনা করেছেন মাসরিকুল আলম।

কয়েক মাস আগে ‘ভুল সবই ভুল’ নাটকের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। মাসরিকুল আলম বলেন, “কারো মন খারাপ থাকলে মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো উপভোগ্য নাটক। এককথায় ব্যাপক বিনোদন পাবে। এই কাজের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে এর হিউমার। নাটকে অপূর্ব ভাইয়ের কমেডি টাইমিং ছিল খুব দারুণ হয়েছে। দর্শক দেখলে বুঝবেন।”

অপূর্ব-সাবিলা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন সুষমা সরকার, শমু চৌধুরী, শামিমা নাজনিন প্রমুখ।

নির্মাতা জানান, অপূর-সাবিলা জুটিকে তার চতুর্থ কাজ এটি। এর আগের কাজগুলো থেকে এটি পুরোপুরি আলাদা। টিভি প্রচার হলে যারা দেখেছেন পছন্দ করেছেন, এবার ইউটিউবে দেখা যাবে।

পয়লা বৈশাখের দিনে গোল্লাছুট ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি দেখা যাবে।

ঢাকা/রাহাত/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানায় মামলা করেছিলেন তার মা। এ ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো তারা মোবাইল ফোনে কল করে মেয়েটির মা-বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি, মামলা তুলে না নিলে তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলছে। এ ঘটনায় পরিবারটি ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। 

ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে পাশের বারেন্ডা গ্রামের জান্নাতুল মোল্লা প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ১০-১২ জন সশস্ত্র সহযোগী নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হানা দেয় জান্নাতুল। তার মাকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায় ওই কিশোরীকে। 

ঘটনার দিনই কাশিমপুর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়। পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩ এপ্রিল রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল ওই থানায় অপহরণ মামলা করেন মেয়েটির মা। এতে জান্নাতুল মোল্লা (২৬), তার বাবা সফিউদ্দিন মোল্লা (৬০), আফাজ উদ্দিন আফু (৫০), জহিরুল ইসলাম (৩৫), হিমেল হোসেনের (২৬) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। 

মামলার বাদীর ভাষ্য, আসামি ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই ফোনে ও সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। তা না করলে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা মামলার সাক্ষীদেরও নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। পুলিশও অজ্ঞাত কারণে আসামি গ্রেপ্তার করছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, অপহরণে জড়িত পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও বিত্তবান। তাই হয়তো পুলিশ ধরতে আগ্রহী নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

কাশিমপুর মেট্রোপলিটন থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ৪ এপ্রিল অপহরণের মামলা হয়। জানতে পেরেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ