চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, রুয়েট কর্মকর্তা কারাগারে
Published: 12th, April 2025 GMT
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের মামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, রুয়েটের অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান মানিক।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলার আরেক আসামি ও মানিকুজ্জামানের বড় ভাই রাজশাহীর হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মুনরুজ্জামান মুন। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তামান্না ইয়াসমিন নামে এক ভুক্তভোগীর মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে নগরীর রাণীনগর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা তামান্না ইয়াসমিন ২০২২ সালের ৯ মার্চ মানিক ও তার ভাই মুনরুজ্জামান মুনকে ৪ লাখ এবং ১৬ মার্চ ১ লাখ টাকা দেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুত চাকরি না হওয়া এবং অর্থ ফেরত না পাওয়ায় তামান্না ইয়াসমিন গত ২৮ মার্চ বোয়ালিয়া থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।
আরেক ভুক্তভোগী জেসমিন আরা জানান, তার স্বামী সুইটকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন মানিক ও তার ভাই মুন।
এ দুই ভুক্তভোগী বোয়ালিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়া রানীনগর পানির ট্যাংক এলাকার সালমা কবির অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ফাহমিদা আক্তার রিমিকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ৪ বছর আগে মানিক ও মুন ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, “মানিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আএরা যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।