‘মেলোডি আনলিশড’ শিরোনামের কনসার্টে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানি শিল্পী মুস্তাফা জাহিদ। এদিন রাতেই বনানীর এক প্যাডে প্র্যাকটিস সেশনও সারেন। শুক্রবার ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই জানতে পারেন কনসার্টটি স্থগিত হয়েছে। বিষয়টি গায়ককে শুধু অবাকই করেনি, এমন আচরণে হতাশ হয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে পাকিস্তানের এ শিল্পী জানিয়েছেন, আয়োজক মেলোডি অ্যান্ড মাইন্ড কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের পরও শ্রোতাদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানাতে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।

শুক্রবার রাতে ফেসবুক পোস্টে মুস্তাফা জাহিদ লিখেছেন, ‘একটু আগেই আয়োজকদের কাছ থেকে জানতে পারি, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে আজ রাতের (শুক্রবার) কনসার্টটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় নেমে প্র্যাকটিস করেছি, শ্রোতাদের একটি অসাধারণ রাত উপহার দিতে ঢাকার শিল্পীদের সঙ্গে আমরা অনেক সময় পর্যন্ত রিহার্সাল করেছি।’
এই শিল্পী আরও লিখেছেন, ‘আয়োজকদের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের পরও আমরা এখানে এসেছি শুধু আপনাদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানাতে, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু এই কনসার্ট বাতিলের সিদ্ধান্তটি একেবারেই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। আমরা হতাশ ও কষ্ট পেয়েছি।’
ভক্তদের উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে মুস্তাফা জাহিদ লিখেছেন, ‘ঢাকা, আমরা এসেছিলাম তোমাদের জন্য। আমরা প্রস্তুত ছিলাম। খুব শিগগিরই হয়তো আরও ভালোভাবে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে।’

পাকিস্তানি শিল্পী মুস্তাফা জাহিদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ক রব র কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চায় ঢাবি ছাত্রদল 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রদল। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি এ দাবি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগুন লাগার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান—   এই প্রতিপাদ্যে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির কাজে যুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন ধরে আনন্দমুখর পরিবেশে এ কার্যক্রম চললেও শনিবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কিছু দুর্বৃত্ত অনুষদ প্রাঙ্গণে নির্মিতব্য ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার প্রতিকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে তা ভস্ম করে দিয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবহেলা এবং ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্টদের মুক্ত পদচারণার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রদল এর আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তার সত্যতা প্রমাণ করে প্রতি একটি ভয়াবহ বার্তা দিয়ে গেল।’

ঢাবি ছাত্রদল বলেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলাকারীরা এখনো আবাসিক হলগুলোতে বহাল তবিয়তে অবস্থান করছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিনা বাধায় চলাফেরা করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার মাধ্যমে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছে ঢাবি ছাত্রদল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ