বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি অঞ্চলের ২৪৬টি কক্ষে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছে বাকৃবি। 

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে কৃষি গুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।

পরীক্ষায় বাকৃবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে অংশ নেন ১১ হাজার ৫১১ জন। সে হিসাবে উপস্থিতির হার ৯০.

৮৯ শতাংশ। ছয়টি অনুষদের আওতাধীন বিভিন্ন ভবন এবং ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত স্কুল-কলেজের কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ মো. হেলাল উদ্দীন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম, নিরাপত্তা কাউন্সিল পরিচালক অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোনিয়া সেহেলী, অধ্যাপক মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, “অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি। অন্যান্য কেন্দ্রের বিষয়েও খোঁজ নিয়েছি। সারা বাংলাদেশেই সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “চলতি বছর কৃষি গুচ্ছ থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু দেশের সামগ্রিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সরকার আমাদের অনুরোধ করেছে, গুচ্ছ ব্যবস্থায় থেকে যেতে। সেই অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতেই অংশ নিয়েছি।”

প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানান, আগের বছরের তুলনায় এবারের প্রশ্ন বেশি মানসম্মত ছিল। তবে শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে কিছু প্রশ্ন এসেছে।

এবারের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় দেশের নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে নয়টি মূল ও ১৩টি উপকেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২২টি কেন্দ্রে।

আসনগুলোর মধ্যে—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯টি এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা: বাকৃবি কেন্দ্রে উপস্থিতি ৯১ শতাংশ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি অঞ্চলের ২৪৬টি কক্ষে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছে বাকৃবি। 

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে কৃষি গুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি।

পরীক্ষায় বাকৃবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬৬৫ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে অংশ নেন ১১ হাজার ৫১১ জন। সে হিসাবে উপস্থিতির হার ৯০.৮৯ শতাংশ। ছয়টি অনুষদের আওতাধীন বিভিন্ন ভবন এবং ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত স্কুল-কলেজের কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ মো. হেলাল উদ্দীন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম, নিরাপত্তা কাউন্সিল পরিচালক অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোনিয়া সেহেলী, অধ্যাপক মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, “অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি। অন্যান্য কেন্দ্রের বিষয়েও খোঁজ নিয়েছি। সারা বাংলাদেশেই সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “চলতি বছর কৃষি গুচ্ছ থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু দেশের সামগ্রিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সরকার আমাদের অনুরোধ করেছে, গুচ্ছ ব্যবস্থায় থেকে যেতে। সেই অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতেই অংশ নিয়েছি।”

প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানান, আগের বছরের তুলনায় এবারের প্রশ্ন বেশি মানসম্মত ছিল। তবে শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে কিছু প্রশ্ন এসেছে।

এবারের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় দেশের নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে নয়টি মূল ও ১৩টি উপকেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২২টি কেন্দ্রে।

আসনগুলোর মধ্যে—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯টি এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ