রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, সফরকালে সেনাপ্রধান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। তিনি রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান, উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং ক্রোয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

আরো পড়ুন:

নাটোরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২ 

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত

গত ৭ এপ্রিল জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আলেক্সান্ডার ফোমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, রাশিয়ায় দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

৮ এপ্রিল তিনি রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিউকভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, সামরিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকের আদান-প্রদান এবং যৌথ সামরিক মহড়াসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া সেনাপ্রধান রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা ‘রোসাটম’-এর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নির্ধারিত সময়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযুক্তি বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ‘রোস্টেক’ এবং ‘রোজোবোরন এক্সপোর্ট’-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

১০ এপ্রিল, ক্রোয়েশিয়া সফরের সময় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিহোমির কুন্দিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন, যৌথ সামরিক মহড়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত ৬ এপ্রিল সেনাপ্রধান রাশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং পরে ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া সফরে যান। সফর শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ষ ৎ কর ন সহয গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘হাসিনার দোসররা ভোরে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে’

চারুকলায় শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট মোটিফ পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, “হাসিনার দোসররা ভোরে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক; তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।”

শনিবার (১২ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন ফারুকী। 

পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদের আইনের আওতায় আনব তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেন আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।”

আরো পড়ুন:

নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’

বর্ষবরণে থাকছে ‘অন্ধকার কাল থেকে উত্তীর্ণ হবার বার্তা’

“রাতের এই ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেলো, বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না। আমরা এখন আরও বেশি ডিটারমাইনড এবং আরও বেশি সংখ্যায় অংশ নেব,” যোগ করেন ফারুকী। 

তিনি বলেন, “গত কিছু দিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ওই বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরো অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠল। জুলাই চলমান।”

ঢাকা/রাহাত/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ