চাঁদে ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
Published: 12th, April 2025 GMT
বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ও সাই-ফাই সিনেমার মতো একটি কাজ করতে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ইনটুইটিভ মেশিনস চাঁদে একটি ডেটা সেন্টার খুলবে বলে কাজ করছে। লোনস্টার ডেটা হোল্ডিংস সম্প্রতি চাঁদে ইনটুইটিভ মেশিনসের ল্যান্ডার এথেনার সঙ্গে ডেটা সেন্টারের কিছু যন্ত্র পাঠিয়েছে চাঁদে। ফ্লোরিডাভিত্তিক লোনস্টার সফলভাবে একটি হার্ডব্যাক বইয়ের আকারের ছোট ডেটা সেন্টার পরীক্ষা করেছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের রকেটে এথেনা উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
লোনস্টারের ভাষ্যে, চাঁদে ডেটা সেন্টার স্থাপন সুবিধা অনেক। এমন ডেটা সেন্টার গ্রাহকদের সুরক্ষিত, নির্ভরযোগ্য উপায়ে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে সহায়তা করবে। আবার সীমাহীন সৌরশক্তির সুবিধার জন্য বেশ কার্যকরভাবে কাজ করবে। মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন ধারণা নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
ডেটা সেন্টার নিয়ে পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সেভাবে ডেটা সেন্টার স্থাপনের উপযুক্ত স্থান খুঁজে পাওয়ার অসুবিধা রয়েছে বলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মহাকাশের ডেটা সেন্টার বিকল্প পথ দেখা যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর কম্পিউটিংয়ের জন্য বড় ডেটা সেন্টার প্রয়োজন হচ্ছে। সে কারণে চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষপথে ডেটা সেন্টার বসানোর বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা পরামর্শক সংস্থা ম্যাকেঞ্জির মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ডেটা সেন্টারের বার্ষিক চাহিদা ১৯ থেকে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব ডেটা সেন্টার স্থাপন করার জায়গা সংকট রয়েছে। আবার প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করে বলে সমালোচনা রয়েছে।
সূর্যের শক্তি ও পরিবেশগত প্রভাব থাকবে না দেখে চাঁদে ডেটা সেন্টার স্থাপনে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার মহাকাশযান পরিচালনার জন্য সুবিধা দেবে। স্থলভাগ থেকে ডেটা স্থানান্তরের চেয়ে মহাকাশ থেকে মহাকাশে ডেটা স্থানান্তর দ্রুততর হবে তখন। এরই মধ্যে ইউরোপীয় কমিশন অর্থায়িত কক্ষপথে ডেটা সেন্টার স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সমীক্ষা বলছে, মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে ইউরোপীয় ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে পরিবর্তন আসবে। আরও পরিবেশবান্ধব উপায়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করা যেতে পারে।
প্রকৌশলী ড্যামিয়েন ডুমেশিয়ার বলেন, মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার বিদ্যমান স্থলভিত্তিক ডেটা সেন্টারের চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি ২০৩০ বা ২০৩৫ সালের মধ্যে করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদে ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ও সাই-ফাই সিনেমার মতো একটি কাজ করতে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান ইনটুইটিভ মেশিনস চাঁদে একটি ডেটা সেন্টার খুলবে বলে কাজ করছে। লোনস্টার ডেটা হোল্ডিংস সম্প্রতি চাঁদে ইনটুইটিভ মেশিনসের ল্যান্ডার এথেনার সঙ্গে ডেটা সেন্টারের কিছু যন্ত্র পাঠিয়েছে চাঁদে। ফ্লোরিডাভিত্তিক লোনস্টার সফলভাবে একটি হার্ডব্যাক বইয়ের আকারের ছোট ডেটা সেন্টার পরীক্ষা করেছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের রকেটে এথেনা উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
লোনস্টারের ভাষ্যে, চাঁদে ডেটা সেন্টার স্থাপন সুবিধা অনেক। এমন ডেটা সেন্টার গ্রাহকদের সুরক্ষিত, নির্ভরযোগ্য উপায়ে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে সহায়তা করবে। আবার সীমাহীন সৌরশক্তির সুবিধার জন্য বেশ কার্যকরভাবে কাজ করবে। মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন ধারণা নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
ডেটা সেন্টার নিয়ে পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সেভাবে ডেটা সেন্টার স্থাপনের উপযুক্ত স্থান খুঁজে পাওয়ার অসুবিধা রয়েছে বলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মহাকাশের ডেটা সেন্টার বিকল্প পথ দেখা যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর কম্পিউটিংয়ের জন্য বড় ডেটা সেন্টার প্রয়োজন হচ্ছে। সে কারণে চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষপথে ডেটা সেন্টার বসানোর বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা পরামর্শক সংস্থা ম্যাকেঞ্জির মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ডেটা সেন্টারের বার্ষিক চাহিদা ১৯ থেকে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব ডেটা সেন্টার স্থাপন করার জায়গা সংকট রয়েছে। আবার প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করে বলে সমালোচনা রয়েছে।
সূর্যের শক্তি ও পরিবেশগত প্রভাব থাকবে না দেখে চাঁদে ডেটা সেন্টার স্থাপনে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার মহাকাশযান পরিচালনার জন্য সুবিধা দেবে। স্থলভাগ থেকে ডেটা স্থানান্তরের চেয়ে মহাকাশ থেকে মহাকাশে ডেটা স্থানান্তর দ্রুততর হবে তখন। এরই মধ্যে ইউরোপীয় কমিশন অর্থায়িত কক্ষপথে ডেটা সেন্টার স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সমীক্ষা বলছে, মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে ইউরোপীয় ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপে পরিবর্তন আসবে। আরও পরিবেশবান্ধব উপায়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করা যেতে পারে।
প্রকৌশলী ড্যামিয়েন ডুমেশিয়ার বলেন, মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার বিদ্যমান স্থলভিত্তিক ডেটা সেন্টারের চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব হতে পারে। এটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এটি ২০৩০ বা ২০৩৫ সালের মধ্যে করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি