রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া 'বি' ইউনিটের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের তিনটি কক্ষে (২০১, ২০৩ ও ২০৪) এই ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষা শুরুর আগেই উত্তরপত্র পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কতৃপক্ষ।

শিক্ষার্থী, প্রশাসন ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অবাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত উত্তরপত্রে লেখা ছিল অবাণিজ্য। কিন্তু যারা উত্তরপত্র সরবরাহ করেছেন, তারা ভুলক্রমে অবাণিজ্যের পরিবর্তে অবিজ্ঞানের উত্তরপত্র সরবরাহ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরের আঞ্চলিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই পরীক্ষা তিন ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরীক্ষা শুরুর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের ২০১, ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থীদেরকে ‘বি’ ইউনিটের পরিবর্তে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র দেওয়া হয়। পরে তারা বিষয়টি দায়িত্বরত পরিদর্শককে জানান। 

পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৫ মিনিট পূর্বে সেগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক এস এম এম কামরুজ্জামান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক এস এম এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘আজকের ভর্তি পরীক্ষায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপত্র সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ভুলক্রমে অবাণিজ্যের পরিবর্তে অবিজ্ঞানের উত্তরপত্র সরবরাহ করেছেন। তিনটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট আগেই সংরক্ষিত উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। ফলে কোনো পরীক্ষার্থীকে অসুবিধায় পড়তে হয়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, যারা উত্তরপত্র প্রিন্ট করে প্যাকিং করেছেন, তাদের ভুলের কারণেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ট র পর ক ষ পর ক ষ র থ অব ণ জ য অন ষ ঠ ত কর ছ ন র ভর ত

এছাড়াও পড়ুন:

গরমে লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে যাতে লোডশেডিং কম হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার। যদি লোডশেডিং হয়, আগে ঢাকা শহরে হবে। পরে দেশের অন্য জায়গায় হবে। আগের মতো শুধু গ্রামে হবে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দুইটি কারণে বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। উৎপাদন কম হলে যদি লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন সেটি লোডশেডিং। আর ঝড় বৃষ্টিসহ কোনো কারণে যদি ফিউজ চলে যায়, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। রমজানের মতো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আমরা চেষ্টা করবো। তবে লোডশেডিং যদি হয়, এমন হবে না যে শুধু গ্রামে লোডশেডিং হবে। ঢাকাতে প্রথমে লোডশেডিং হবে। পরে অন্য জায়গায় হবে।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। এ জন্য আমরা এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখতে বলেছি। এটা রাখতে পারলে এক-দুই হাজার চাহিদা কমবে। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

খাল-নালায় ময়লা ফেললে জেল-জরিমানা
এবার চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। বৃষ্টির পরিমাণ কেমন হবে তা একটা বড় ফ্যাক্টর। তবে এই দুর্ভোগ এবার অনেকটা লাঘব হবে।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে একটা জিনিস দেখে খারাপ লাগছে, কিছুদিন আগে খাল পরিষ্কার করা হলেও সেখানে এখন আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে এই কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারি নাই। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। মানুষকে সচেতন করা হবে। ময়লা রাখার বিন দেওয়া হবে। এরপরেও যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ শাস্তি দেওয়া হবে।

কক্সবাজার সড়ক ছয় লেন হবে
এদিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রশস্ত করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এই মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে। তবে তা সময়সাপেক্ষ। এখানে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সব মিলিয়ে দুই-তিন বছরের আগে হবে না। তবে এই সময় সড়কে দুর্ঘটনারোধে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। সতর্ক করে সাইন পোস্ট দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। চালকদের সচেতন করা হবে।

এই সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। এরপর ডিসেম্বরে ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে। আগামী জানুয়ারিতে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণ চুক্তি করার কথা রয়েছে।

রেলের শত্রু রেলের কর্মীরা
এদিকে ব্রিফিংয়ের সময় রেলওয়ে প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলের শত্রু রেলের কর্মীরা। সিটি করপোরেশন রাস্তা করতে চাইলে, ওয়াসা পানি দিতে চাইলেও রেল নিতে চায় না। তবে এখন থেকে তা হবে না। সিটি করপোরেশন সিআরবিতে রাস্তা করে দেবে। ওয়াসা পানি সরবরাহ করবে। রেলের কাজ হচ্ছে ট্রেন পরিচালনা করা। প্রতিনিয়ত সেবার মান বাড়ানোর কাজ করতে হবে। রাস্তা করা ও পানি সরবরাহ করা রেলের কাজ নয়। এসব করতে গিয়ে রেলের দক্ষতা নষ্ট হয়। অর্থের অপচয় হয়।

রেল উপদেষ্টা বলেন, রেলের এক টাকা আয় করতে আড়াই টাকা খরচ হয়। এভাবে হলে চলবে না। এটি দুই টাকার নিচে নিয়ে আসতে হবে। আর ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচ সংকটে সরকার কাজ করছে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পানি নেই ঝিরি-ঝরনায় সংকটে দুর্গম গ্রামবাসী
  • আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট ১৭ ঘণ্টা পর চালু
  • আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, লোডশেডিং বাড়তে পারে
  • গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
  • যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কযুদ্ধে কতটা বাড়বে আইফোনের দাম
  • রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস কতদূর
  • গরমে লোডশেডিং হলে আগে ঢাকায় হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
  • মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা, ভোগান্তি
  • পরীক্ষার্থীকে লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ, শিক্ষকের দুই বছরের কারাদণ্ড