‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় আহত ১২
Published: 12th, April 2025 GMT
জামালপুর থেকে ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে যাওয়ার সময় টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছেন। তারা জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মী।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে জামালপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজং বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে যোগ দিতে মাদারগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকর্মী। মাইক্রোবাসটিতে দলটির মাদারগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মাওলানা সফিকুল ইসলামও ছিলেন। বানিয়াজং বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর মাইক্রোবাসের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে ১২ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে ১১ জনকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরা হলো না তাসিনের
সিলেটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ধনবাড়ী থানার ওসি শহীদুল্লাহ বলেন, “দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলের কালিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ফরিদ মোল্যা কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরত মোল্যার ছেলে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদ মোল্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান।
এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে বশির মুন্সি নামে আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দু’পক্ষের মধ্যে। এ নিয়ে থানায় উভয়পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকেই গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। নিহত ফরিদ মোল্যা আফতাব মোল্যা গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্যা পক্ষের সানোয়ার রহমান নড়াইল আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে আফতাব মোল্যার লোকজন মারপিট করে। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মিলন মোল্যা পক্ষের লোকজন আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ স্কুল মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
আফতাব মোল্যা পক্ষের আহতদের মধ্যে রয়েছেন- করিম মুন্সি (৪৯), হুসাইন শেখ (১৮), আশরাফ মোল্যা (৫০), বশির মুন্সি (৪৫), করিম মুন্সী (৩৭), জালাল মুন্সি (৪৭), নাহিদ মোল্যা (২৫), করিম মোল্যা (১৬), সহিদ মুন্সি (৪০)।
মিলন মোল্যা পক্ষের দের মধ্যে রয়েছেন- তৌহিদ মোল্যা (৫০), আলমিস শেখ (৩৫) নিরব মোল্যা (১২), হাসিব মোল্যা (১৫), কিবরিয়া শেখ (২৮), ওসমান মোল্যা (১৫), কামাল কাজী (৪০), তরিক শেখ (২৪), জাকারিয়া শেখ (২৫) ও দিদার শেখ (১৮), হুমায়ন কাজী (৩৫), ওহাব কাজী (৪৫), পিয়ার মোল্যা (৩৪)।
ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কালিয়া থানায় হন্তান্তর করে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/শরিফুল/টিপু