জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা সকলেই একমত, এখানে (দেশে) রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি। এ উদ্যোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি জনগণের, দীর্ঘদিন ধরে তারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আছে, সেখানে বাংলাদেশ জাসদের ভূমিকাও রয়েছে।’

শনিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এমপি হোস্টেলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আলোচনায় এ কথা বলে আলী রীয়াজ। সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.

ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। 

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন ইন্দু নন্দ দত্ত, ডা. মুশতাক হোসেন, এটিএম মহব্বত আলী প্রমুখ।

আলোচনায় আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল র য় জ

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে নির্বাচনে গেলে শঙ্কা দেখা দেবে: জামায়াত

আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া তাগিদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী।

তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনা। এটি না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে গেলে সেটা ঐকমত্যের নির্বাচন হবে কি না, সে শঙ্কা দেখা দেবে।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। একটা হচ্ছে আমরা সংস্কার চাই। সেটা একটা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য করতেই হবে। এটা যদি সে লক্ষ্যে হয়, সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।’

তবে গোলাম পরওয়ার মনে করেন, এখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন সংবিধান, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সংসদ, বিচার বিভাগের সংস্কারে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে একমতে আনতে হবে। এটা না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচনে গেলে মতপার্থক্য দেখা দেবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে এনে নির্বাচন দিলে আমরা খুশি হব। ঐকমত্যে না এসে নির্বাচনে গেলে কী হবে, হয়তো দেখা যাবে, কোনো দল নির্বাচন করবে, কেউ করবে না—এমন আশঙ্কা তৈরি হবে।’ আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া তাগিদকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী।

তবে দলটি মনে করে, নির্বাচনে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আনা। এটি না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনে গেলে সেটা ঐকমত্যের নির্বাচন হবে কি না, সে শঙ্কা দেখা দেবে।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক করেন। সেখানে তিনি কমিশনকে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে দুটি বিষয়। একটা হচ্ছে আমরা সংস্কার চাই। সেটা একটা নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য করতেই হবে। এটা যদি সে লক্ষ্যে হয়, সেটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।’

তবে গোলাম পরওয়ার মনে করেন, এখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন সংবিধান, সংবিধানের প্রস্তাবনা, সংসদ, বিচার বিভাগের সংস্কারে কিছু মৌলিক বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনকে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে একমতে আনতে হবে। এটা না করে কেবল সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচনে গেলে মতপার্থক্য দেখা দেবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে অন্তত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে এনে নির্বাচন দিলে আমরা খুশি হব। ঐকমত্যে না এসে নির্বাচনে গেলে কী হবে, হয়তো দেখা যাবে, কোনো দল নির্বাচন করবে, কেউ করবে না—এমন আশঙ্কা তৈরি হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ
  • সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে নির্বাচনে গেলে শঙ্কা দেখা দেবে: জামায়াত
  • সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
  • ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
  • ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
  • মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাসদের আলোচনা  
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ জাসদের বৈঠক 
  • সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর মতামত জানাল ইসলামী আন্দোলন