ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নারীরাও। রাজধানীর বাইরে থেকে এসে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন তাঁদের কেউ কেউ।

আজ শনিবার প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশের আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত শুরুর কথা ছিল। তবে তার আগেই বিভিন্ন স্থান থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে থাকেন নারী–পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষ। তাঁরা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানান।

নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন শান্তা বেগম (৬১)। পুত্রবধূ সালমা আক্তার এসেছেন তাঁর সঙ্গে। শান্তা বেগম ছেলের ফোনে ইউটিউব থেকে জানতে পারেন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এ কর্মসূচির কথা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গাজাবাসীর পক্ষে আছি, ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। ইহুদিদের বিপক্ষে।’ শান্তা বেগমের পুত্রবধূ সালমা গৃহিণী। সালমার স্বামী চায়ের দোকান করেন নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের ওপর নির্মম হামলার চিত্র নিয়মিত দেখেন সালমা। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য এটাই যে আমরা আমাদের অন্য মুসলিম ভাইবোনের পাশে দাঁড়াতে পারি.

..তারা নিরাপদ থাকতে পারে, তাদের ওপরে যে যুদ্ধটা চলতেছে, এটা যাতে থামে। অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যাতে দাঁড়াইতে পারে।’

রাজধানীর উত্তরা থেকে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন সোনিয়া খান। প্রকৌশলী সোনিয়া খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জুলাই আন্দোলনেও মাঠে নেমেছিলাম। মানবতাবিরোধী যেকোনো কার্যক্রমে আমরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাব। কারণ হচ্ছে মানুষ হত্যা, এর চেয়ে বড় কিছু তো আর হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে নারী, পুরুষ ও শিশুদের গণহারে হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই কেন? এ অত্যাচার বন্ধ করতে হবে, এ গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।

কেরানীগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষক মাবিয়া আক্তার। মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখানে থেকে কিছুটা হলেও সবার সঙ্গে শামিল হয়ে একসঙ্গে এটা জানাতে পারি, বাংলাদেশের নারীরা মুসলমানদের পক্ষে আছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা আক্তার বললেন, তিনি মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন প্রতিবাদ জানানোর জন্য। ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে, তা যেন কখনো আর না হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র চ ফর গ জ এস ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামের শ্বাশ্বত আদর্শই মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি : মমিনুল হক  

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার বলেছেন, ইসলামের শ্বাশ্বত আদর্শই মানবতার মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি। কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে ব্যাক্তি পরিবার সমাজ গঠনে শান্তি ফেরাতে পারে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াত আয়োজিত অগ্রসর কর্মী শিক্ষা বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

মমিনুল হক সরকার আরো বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য কর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। একটি কল্যাণমূখী, আদর্শ ও ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার একদল সৎ, নীতিবান আদর্শবান নেতৃত্ব ও কর্মী বাহিনী। সৎ, দক্ষ, যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির জন্য জামায়াতে ইসলামী তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। 

জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক মাসুদুর রহমান গিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষা বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমা, সহকারী সেক্রেটারী আবু সাঈদ মুন্না, , মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মজিবুর রহমান মিয়াজী, মুফতী জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা আবদুল মজিদ প্রমূখ। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লার পানি ও মাদকের সমস্যার সমাধান করবে বিএনপি : দিপু ভূঁইয়া
  • ৫ নয় ৫০ বছর থাকুন, আগে নির্বাচিত হয়ে আসুন : রাজীব
  • বন্দরে সেই  অহিদের বাড়িতে আমন্ত্রিত বিএনপির শীর্ষ নেতারা, ক্ষোভ  
  • সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
  • সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
  • কাটা হাত দেখে এগিয়ে মিলল ৩ লাশ
  • সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত 
  • ইসলামের শ্বাশ্বত আদর্শই মানবতার মুক্তির গ্যারান্টি : মমিনুল হক  
  • গোপালগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু