ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। ফুটবল খেলে তার রোজগার, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, সোস্যাশ মিডিয়া থেকে আসা অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকায় যে অর্থ তিনি উপার্জন করেন তার সঙ্গে রোনালদো ব্র্যান্ড ব্যবহার করে অন্যের করা আয়কে একত্রিত করে ২০২৫ সালে সিআরসেভেন ব্র্যান্ডের মূল্য দাঁড়াবে রেকর্ড ৮৫০ মিলিয়ন ইউরো বা ১১ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। 

পর্তুগালের পর্তুগিজ ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিস্ট্রিট্রেশন এন্ড মার্কেটিং এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছে। তাদের পাওয়া তথ্য মতে, রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর থেকে বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেন। বিজ্ঞাপন থেকে বছরে তার আয় আসবে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া তার ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় আছে। 

এর সঙ্গে রোনালদোর আছে সিআরসেভেন ক্লোদিং ব্র্যান্ড। আন্ডারওয়ার, জুতা ও সুগন্ধী বিক্রি হয় এই ব্র্যান্ড থেকে। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় তার হোটেল ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ব্যয়বহুল সম্পত্তি রয়েছে। জার্মানির একটি দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক শেয়ার রয়েছে। এছাড়া রোনালদো  ফুটবল ক্লাব কেনার চেষ্টা করছেন। এসব ব্যবসা থেকে মোটা  অঙ্কের  অর্থ উপার্জন করেন তিনি। 

সঙ্গে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে অনেক ধরনের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ও রয়েছে। যেমন অ্যামাজনে রোনালদোর নামে ৪০০’র মতো বই রয়েছে। তার আর্থিক মূল্য রয়েছে। আবার প্রতি বছর বিশ্বে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে ২ কোটি ২৩ লাখের মতো সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এটারও আর্থিক মূল্য আছে। সব কিছু বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য। 

রোনালদোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। এই বয়সে ক্রীড়াবিদদের ব্র্যান্ড ভেল্যু সাধারণত কমে। রোনালদোর মূল্য বাড়ার কারণ হচ্ছে এখনো তিনি গোল করে যাচ্ছেন। এক হাজার গোলের লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছেন তিনি। সৌদি লিগে আসার কারণে তার বেতন পূর্বের চেয়ে কয়েক গুন বেড়েছে। আবার বিজ্ঞাপন থেকেও তার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। 

উলফ স্পোর্টসের মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার ফ্যাবিও উলফ বলেছেন, ‘রোনালদো ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মার্কেটিং ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিভা, পরিশ্রম, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, জীবন শৃঙ্খলা ও অন্যান্য কৌশলের কারণে তার ব্র্যান্ড ভেল্যু এই পর্যায়ে এসেছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’

‘সন্ধ্যা নামে প্রলয় মাঝে, বাচ্চারা খেলে না আর, স্কুল ভেঙে গেছে বই পুড়ছে, তবু ওদের সাহসে নেই বাঁধ, ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’– বহু দূরের ফিলিস্তিনের নির্যাতিত শিশুদের জন্য নারায়ণগঞ্জে খেলাঘরের শিশুরা সবাই মিলে দাঁড় করিয়েছে একটি কবিতা। শনিবার বিকেলে এই কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়েই পালন করে প্রতিবাদী মানববন্ধন। সেখানে ফিলিস্তিনের নির্বিচার শিশু হত্যার, মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানায় তারা। 
‘ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’ কবিতার লাইনটি মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মুখে রূপান্তরিত হয় স্লোগানে। পাশাপাশি উঠে আসে আরেক স্লোগান, ‘খেলাঘর চায় না, শিশুদের কান্না’। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে খেলাঘর আসর আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন নানা দলমতের মানুষ।
জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘ফিলিস্তিনি শিশুদের কান্নার রোল আমাদের হৃদয়ে গভীর কষ্ট সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা শিশুদের নিয়ে আজ রাস্তায় দাঁড়িয়েছি এসব শিশুর কান্নার সঙ্গে চিৎকার দেওয়ার জন্য। আমরা আমেরিকার সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও অনতিবিলম্বে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছি। শুধু মুসলমানরাই নয়, কোনো মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ এই নির্বিচারে গণহত্যা, এই ধ্বংসযজ্ঞ মেনে নিতে পারে না। এই বিশ্বকে আমরা শিশুদের বাসযোগ্য দেখতে চাই, আনন্দময় দেখতে চাই। যুদ্ধমুক্ত পৃথিবীর প্রত্যাশা করি।’
জহিরুল ইসলাম জহিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জেলা মহিলা পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিদ মুস্তাকিম শিপলু, জেলা উদীচীর সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, জেলা বাসদ সমন্বয়ক আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ক্রান্তি খেলাঘর আসরের সভাপতি মামুন ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ খেলাঘর আসরের সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ