চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
Published: 12th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি
বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান
মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো.
সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।”
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব সমর থ ত প র র থ আইনজ ব ব এনপ ফরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সেনাবাহিনীর জন্য আলোচনার দরজা কখনো বন্ধ হয়নি: ইমরান খান
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপ শুরুর উদ্যোগ নিতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আজম স্বাতীকে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত মঙ্গলবার ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গত মঙ্গলবার আইনজীবী ও দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তাঁর মুক্তির জন্য নয়, বরং তা পাকিস্তানের স্বার্থের জন্য।
এ বিষয়ে জ্ঞাত সূত্র জানিয়েছে, ইমরানের সঙ্গে দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সাক্ষাৎ করতে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপের দরজা তিনি কখনো বন্ধ করে দেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর দল বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, বর্তমান সরকার সত্যিকারের কর্তৃপক্ষ নয়।
ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গওহর আলী খান, সিনেটর আলী জাফর, আইনজীবী জহির আব্বাস, মুবাশ্বর আওয়ান ও আলী ইমরান।
ওই সাক্ষাতের সময় সিনেটর জাফর স্বাতীর সাম্প্রতিক একটি ভিডিও বিবৃতির বিষয়ে ইমরানের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। ওই ভিডিওতে স্বাতী দাবি করেন, ইমরান খান তাঁকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপ শুরুর বিষয়ে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি গোপন রাখতে বলেছিলেন।