গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিজাত ইউনিটের পিটিশন
Published: 12th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরো কয়েকশ’ সদস্য নতুন একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল কান-এর বরাত দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
কান জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নতুন একটি চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সৈন্যরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ এবং বিশেষায়িত বিভাগের সদস্য।যার মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০, বিশেষ বাহিনী এবং সায়েরেত মাতকাল, শায়েতেত এবং শালদাগের মতো অভিজাত ইউনিট।
আরো পড়ুন:
গাজা ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে: রেড ক্রস
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ শনিবার
কান আরো জানিয়েছে, স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সক্রিয় রিজার্ভ সেনা।
আনাদোলুর একটি হিসাব অনুসারে, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ছয়টি পিটিশন স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রথম চিঠিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রায় এক হাজার সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। পরে এতে ১ হাজার ইসরায়েলি শিক্ষাবিদ যোগ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় পিটিশনে ইসরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য; তৃতীয়টিতে কয়েক ডজন রিজার্ভ সামরিক চিকিৎসক; চতুর্থটিতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০ এর কয়েকশ’ সদস্য, পঞ্চমটিতে প্রায় ১০০ সামরিক চিকিৎসক এবং সর্বশেষ ষষ্ঠটিতে বিশেষ এবং অভিজাত বাহিনীসহ বিভিন্ন ইউনিটের কয়েক’শ সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকটি বিবৃতিতে যেকোনো পিটিশনে স্বাক্ষরকারী সক্রিয় সেনাদের বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গাজায় তাদের আচরণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলাও চলছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ইউন ট সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিজাত ইউনিটের পিটিশন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরো কয়েকশ’ সদস্য নতুন একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল কান-এর বরাত দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
কান জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নতুন একটি চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সৈন্যরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ এবং বিশেষায়িত বিভাগের সদস্য।যার মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০, বিশেষ বাহিনী এবং সায়েরেত মাতকাল, শায়েতেত এবং শালদাগের মতো অভিজাত ইউনিট।
আরো পড়ুন:
গাজা ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে: রেড ক্রস
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ শনিবার
কান আরো জানিয়েছে, স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সক্রিয় রিজার্ভ সেনা।
আনাদোলুর একটি হিসাব অনুসারে, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ছয়টি পিটিশন স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রথম চিঠিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রায় এক হাজার সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। পরে এতে ১ হাজার ইসরায়েলি শিক্ষাবিদ যোগ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় পিটিশনে ইসরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য; তৃতীয়টিতে কয়েক ডজন রিজার্ভ সামরিক চিকিৎসক; চতুর্থটিতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০ এর কয়েকশ’ সদস্য, পঞ্চমটিতে প্রায় ১০০ সামরিক চিকিৎসক এবং সর্বশেষ ষষ্ঠটিতে বিশেষ এবং অভিজাত বাহিনীসহ বিভিন্ন ইউনিটের কয়েক’শ সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকটি বিবৃতিতে যেকোনো পিটিশনে স্বাক্ষরকারী সক্রিয় সেনাদের বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গাজায় তাদের আচরণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলাও চলছে।
ঢাকা/ফিরোজ