বার্সেলোনা নয়, মেসি মায়ামিতেই থাকছেন
Published: 12th, April 2025 GMT
লিওনেল মেসির এখন খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর কোথায় যাবেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার? গুঞ্জন ছিল বার্সেলোনা বা নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে যোগ দিতে পারেন এই ফরোয়ার্ড। তবে সেই জল্পনা-কল্পনাতে পানি ঢেলে দিয়ে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর দাবি, মেসির সাথে মায়ামির চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত।
মেসি দারুণ খেলছে মায়ামিতে। ৩৭ বছর বয়সেও এই আর্জেন্টাইন তারকার বয়স যত বাড়ছে, ততই উজ্জ্বল হচ্ছে পারফরম্যান্স। বার্সেলোনার কিংবদন্তি এই বাঁ-পায়ের জাদুকর মায়ামির হয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ৮ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এমন ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’কে ছেড়ে দিবে না ক্লাবটি।
মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং মার্কেট ভেল্যুই ইন্টার মায়ামির ক্রীড়া বিভাগকে চুক্তি নবায়নের দিকে বাধ্য করেছে। ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টাইনের মতে, মেসির চুক্তি নবায়নের দ্বারপ্রান্তে ইন্টার মায়ামি। এই চুক্তি নবায়ন মায়ামির নতুন স্টেডিয়াম ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্ক’-এর উদ্বোধনের সঙ্গেও মিল রেখে হতে পারে। যেখানে পরবর্তী মৌসুম থেকে ক্লাবটির ঘরোয়া ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ‘লাস গারসাস’-এর প্রধান আকর্ষণ হিসেবে মেসির উপস্থিতি এই সময়ে অপরিহার্য বলে ধরা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মেসি ম্যাজিকে সেমিফাইনালে মায়ামি
গোল করেও মায়ামিকে জেতাতে পারলেন না মেসি
এছাড়াও মায়ামিতে মেসির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখানে তিনি তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেটস এবং ইয়র্দো আলবার সঙ্গে খেলছেন। আর দলের কোচ হিসেবে আছেন তারই সাবেক সতীর্থ ও স্বদেশি, হাভিয়ের মাসচেরানো। এই ক্রীড়া প্রকল্পে মেসিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা (৪২), সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট প্রদানকারী (২১)। তাছাড়া তিনি ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়া ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বও ৭ বারের ব্যালন ডি-ওর জয়ী।
মেসির এই ধারাবাহিকতা পেছনে কারণও আছে। মায়ামিতে খেলার সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডায় অনিষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটা দারুণভাবেই সারছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে ফেলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটাই মেসির জাতীয় দলের হয়ে শেষ বড় টুর্নামেন্ট।
ইন্টার মায়ামির সভাপতি জর্জ মাসও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “তার (মেসির) ইচ্ছে হলো যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা এবং শিরোপা রক্ষা করা, যা আমাদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ২০২৪ সালের জুনে ‘ইএসপিএন আর্জেন্টিনা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেও বলেছিলেন, “আমার মনে হয় ইন্টার মায়ামিই হবে আমার শেষ ক্লাব।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর জ ন ট ব শ বক প ইন ট র ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)-এর চেয়ারম্যান থাকাকালে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার। এমনকি স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনসহ পরিবারের নামে বেনামেও সম্পদ গড়েছেন তিনি। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে মো. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের পরিচালক মো. আবুল হাসনাতকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ ও উপ-সহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।
দুদক জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের যাবতীয় নথিপত্র চেয়ে রাজউকে চিঠি দিয়েছে দুদক। ২০২২-২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের বোর্ডসভার তথ্য চেয়ে বর্তমান রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে দুদকে পাঠাতে বলা হয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত এবং নিজের ও পরিবারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কর্মকালে সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থার নেওয়ার কোনো তথ্যাদি থাকলে তা আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে দুদকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে রাজউকের সাবেক এই চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের ব্যাংক লেনদেন যাচাইয়ে দেশের ৬৪ তফসিলি ব্যাংকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
২০২৪ সালের এপ্রিলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে দুই বছর মেয়াদে রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ক্ষমতার পালাবদলে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তার নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে আবার সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নিয়োগ পুনর্বহালের কথা জানানো হয় ২২ সেপ্টেম্বর। গত মার্চে তার নিয়োগ বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশন যে কোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারেন- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ