গল্পের ছবি দাগি। সেই গল্পে প্রাণ দিয়েছেন আফরান নিশো, তমা মির্জাসহ একঝাক তারকা। ফলে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া অন্যতম ব্যবসায়িক ছবি হতে চলেছে এটি। যদিও প্রযোজক মুক্তির দ্বিতীয় দিনের মাথায় বলে দিয়েছেন দাগি সুপারহিট। মুক্তির ১২ দিন পরও তার আচ পাওয়া গেল। এখন সিনেমাটিরা হল বাড়ছে, দর্শক টানছে। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানালেন, মুক্তির ১২ তম দিনে মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শো হাউজফুল গিয়েছে দাগির। 

প্রযোজক জানান জানান, ঈদের দিন থেকে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটির ৩৪টি শো চলছিল। একদিন যেতে না যেতেই আরো ১০টি শো বাড়ানো হয়। পরে আরও বাড়। ১২ তম দিনে এসে মাল্টিপ্লেক্সে তো ভরপুর শো চলছেই সেই সাথে ঢাকার বাইরের হলগুলোতেও দাগি দর্শক টানছে।  আগামী সপ্তাহে ঢাকার বাইরেও দ্বিগুন হল বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।

এর আগে এক ঈদে 'পরাণ' ও 'হাওয়া' বেশ সাড়া ফেলেছিল। দর্শকরা খুব ভিড় করেছিলেন প্রেক্ষাগৃহে। তখনো ঈদকেন্দ্রিক ঢাকাই সিনেমা হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। বিরতির পর আবারও ঈদের সিনেমা দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রেক্ষাপট। সেই প্রেক্ষাপটে দাগি দারুণভাবে এগিয়ে চলেছে।

দাগি সিনেমার অভিনেত্রী তমা মির্জা বলেন,  আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। দর্শকরা ভালো গল্পের সিনেমা পেলে প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যান। তার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গেছে। 'দাগি' ঈদের প্রায় দুই সপ্তাহ পরও দারুণভাবে দর্শক টানছে। বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সে দর্শকদের চাপ এখনও দারুণ। হাউজফুল যাচ্ছে সবগুলো শো। 

এদিকে শনিবার স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় খোজ নিয়ে জানা যায় আজ দাগির কোনা টিকিট নেই। আগামী কালের অগ্রিম টিকিটও অলমোস্ট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এখন অব্দি মাল্টিপ্লেক্সের এই চেইনে ৩০টির বেশি শো চলছে।

দাগি সিনেমা পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। নিশো-তমা ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহিদুজ্জামান সেলিম, রামেদ মামুন অপুসহ অনেকেই।

এদিকে, ‘দাগি’র দর্শক রিভিউও বেশ ভালো। হল থেকে বের হয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দর্শক। ভূয়সী প্রশংসা করছেন নিশো-তমাসহ অভিনয়শিল্পীদের। এ ছবিটিকে পাল্লা দিয়ে চলতে হচ্ছে শাকিব খানের মতো বড় তারকার ‘বরবাদ’ সিনেমার সঙ্গে, যা কি না শত হলে মুক্তি পেয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ তম ম র জ ঈদ র স ন ম

এছাড়াও পড়ুন:

যেভাবে ঘোরাবেন টাকার চাকা

জীবনের চলতি পথে প্রতি ধাপে টাকার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। টাকা সুখ এনে দিতে পারে না। প্রয়োজনের সময়ে টাকার অভাব মানুষের জীবনকে কতটা দুর্বিষহ ও বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে সে কথা বোধ করি কম-বেশি সবারই জানা।
ভেবে-চিন্তে খরচ
টাকা আপনার হাতে আছে। তাই বলে অকারণে কিংবা মামুলি বিনোদনের জন্য তা খরচ করবেন না। খরচ যদি করতে হয়, ভেবে-চিন্তে করুন। ঠিক যতটুকু করা প্রয়োজন, ততটুকুর মধ্যে সামলে রাখুন নিজের টাকা খরচের লোভ।
অপেক্ষা বিপদের
রক্ত পানি করা টাকা খরচ করে বাবা-মা আপনাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছেন মূলত পড়াশোনা করানোর উদ্দেশ্যেই। এ ব্যাপারটি যত দ্রুত আপনি উপলব্ধি করবেন, ততই মঙ্গল। এর পাশাপাশি এ উপলব্ধি করতে পারাও ভালো যে, পড়াশোনার ক্ষতি না করে টিউশনি বা লেখালেখি বা অন্যান্য কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করে সামান্য পরিমাণে হলেও অর্থ উপার্জন করা যায় কিনা। এতে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য নিজেকে যেমন ঝালাই করে নিতে পারবেন, তেমনি পেয়ে যাবেন স্বাবলম্বী হওয়ার প্রাথমিক পাঠ। না হয় সামনে বিপদের অপেক্ষায় থাকুন!
খরচের লাগাম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া ও হালকা হাত-খরচের জন্য সব শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে কম-বেশি টাকা দেওয়া হয়। আপনি যদি বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ হয়ে থাকেন, চেষ্টা করুন মুহূর্তের আনন্দের জন্য সেই টাকা দেদার উড়িয়ে না দিয়ে, বরং সেখান থেকে প্রতিদিন সামান্য করে হলেও জমানোর। ভালো হয় যদি স্কুলজীবন থেকে এ অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারেন। 
ভাবুন তো, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ হয়ে যাবে, তখন নিশ্চয়ই জাদুর মতো করে এক লহমায় সবার কপালে চাকরি জুটবে না। বিশ্বাস করুন, বেকারত্বের দিনগুলো ভয়াবহ রকমের মানসিক বিষাদের। এ সময়ে এতদিনের হাত-খরচ থেকে জমানো টাকাগুলো আপনার দারুণ উপকারে আসবে। নাহয় এর কষ্ট আপনাকে ভোগ করতে হবে। 
সঙ্গী বাছাই
বন্ধু-বান্ধব কিংবা একান্ত মনের মানুষ– এ সময়ে সঙ্গী বাছাইয়ে ভুল করে ফেলেন অনেকে। সেই ভুলের মাশুল তো কাউকে কাউকে জীবন দিয়েও দিতে হয়। u

সম্পর্কিত নিবন্ধ