ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএবি) ২০২৫ সালের মর্যাদাপূর্ণ আইএসও কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি, বহুসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া এবং সম্প্রীতির পরিবেশ গঠনে সংগঠনটির অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার লয়েড নোবেল সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বহুজাতিক অনুষ্ঠান ‘ইভ অব নেশনসে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন (আইএসও)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বার্ষিক উৎসবে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন—যেখানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও আন্তঃসম্পর্কের উজ্জ্বল প্রদর্শনী ছিল উপস্থাপনার কেন্দ্রবিন্দু।

এসএবি-এর পক্ষে সংগঠনের সভাপতি জাহিদ হোসেন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি কেবল এসএবি-এর নয়, এটি প্রতিটি সদস্যের যাদের নীরব ও নিবেদিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহমর্মিতাপূর্ণ পরিসর তৈরি হয়েছে। এটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, যা প্রমাণ করে আমরা একটি বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ, সহনশীল ও আন্তঃসাংস্কৃতিক পরিবেশে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সাংস্কৃতিক বিনিময়ই হচ্ছে ঐক্যের প্রকৃত সেতুবন্ধন।

প্রতিবছর আইএসও কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড সেইসব ছাত্র সংগঠনকে প্রদান করা হয় যারা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বহুজাতিক সংহতি এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখে।

এসএবিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে একটি এমন পরিবেশ গঠনের জন্য, যেখানে নানা জাতিগোষ্ঠী ও সাংস্কৃতিক পটভূমির শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্বাগত, সম্মানিত ও শক্তিশালী বোধ করে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সম্প্রদায়মুখী উদ্যোগ ও আন্তঃসংগঠনিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসএবি ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দৃশ্যমানতা ও নেতৃত্বের জায়গা শক্তিশালী করেছে। এই সম্মাননা কেবল তাদের সৃজনশীল অবদানের স্বীকৃতি নয়, বরং এক বৈশ্বিক ক্যাম্পাসে সংযোগ, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে এসএবি-এর দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পরিচয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব স পর ব শ স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় শহীদদের মাগফিরাত কামনায় মস‌জি‌দে বিশেষ দোয়া শুক্রবার

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্মম গণহত্যায় শহীদ‌দের রু‌হের মাগ‌ফিরাত কামনা ক‌রে শুক্রবার ‌দে‌শের সব মস‌জি‌দে বাদ জুমা বি‌শেষ দোয়া ও মোনাজা‌তের আ‌য়োজন করার অনু‌রোধ জা‌নি‌য়ে‌ছে ইসলা‌মিক ফাউ‌ন্ডেশন।

বৃহস্প‌তিবার (১০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এ আহ্বান জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্মম গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইসরায়েল বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি এবং গাজাবাসীকে দুর্ভিক্ষের মুখে নিপতিত করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যায় মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি গভীর শোক, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

গাজায় গণহত্যায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে সর্তক ও সজাগ থাকা জরুরি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় শহীদদের মাগফিরাত কামনায় মস‌জি‌দে বিশেষ দোয়া শুক্রবার