পুলিশে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (অতিরিক্ত আইজিপি) পদ রয়েছে ২২টি। এখন আছেন ৯ জন। বাকি পদগুলো চলছে চলতি দায়িত্বে। ২২ পদের বাইরে সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপির আরও ৭টি পদ আছে। সেগুলোতেও কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

অতিরিক্ত আইজিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক পদ ফাঁকা রেখেই চলছে পুলিশ। আবার পদে থেকেও বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত আছেন ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক), অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি (পুলিশ সুপার) পদমর্যাদার ১১৯ কর্মকর্তা। তাঁদের কার্যত কোনো দায়িত্ব নেই। তাঁদের বেশির ভাগই প্রতিদিন অফিসে গিয়ে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে যান।

অতিরিক্ত আইজিপির ২২ পদের ১৩টিই ফাঁকা, সুপারনিউমারারি আরও ৭ পদেও পদোন্নতি পায়নি কেউ। অন্যান্য পদেও একই অবস্থা।

একই সঙ্গে পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপিসহ ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়েছেন বা আত্মগোপনে আছেন অনেক কর্মকর্তা। যাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি, মানুষ হত্যাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় এবং অনেক কর্মকর্তা সংযুক্ত, ওএসডি ও আত্মগোপনে থাকায় প্রভাব পড়েছে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমেও। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশের বেশির ভাগ ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব পাননি। অনেক ইউনিটে একজন কর্মকর্তাকে একাধিক পদের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে।

পাশাপাশি পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষও রয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে নিয়মিত পদোন্নতি না পাওয়া এবং ‘বঞ্চিত’ হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন ক্ষোভ বেশি। কারণ, এমন কর্মকর্তাদের অনেকের চাকরির বয়স এখন শেষের দিকে। পদোন্নতি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণে পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না নিয়েই অনেককে অবসরে চলে যেতে হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন ডিআইজি প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় তিন ব্যাচ জুনিয়র কর্মকর্তাকেও তাঁর ওপরে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁকে দেওয়া হয়নি। এখন তাঁর চাকরির বয়স শেষের দিকে। এখন পদোন্নতি না হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তাঁকে ডিআইজি থেকেই অবসরে যেতে হবে।

দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিতদের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করেন বলে উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদোন্নতি, পদায়ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের অনেকে যে পরিমাণ চিন্তিত থাকেন; সে পরিমাণ চিন্তা–পরিকল্পনা পুলিশ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে ঠিক করা যাবে, সে বিষয়ে দেখা যায় না। যেটা এ সময়ে বেশি জরুরি।’

পুলিশের কাঠামো অনুযায়ী সব পর্যায়ে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সব পদেই যোগ্য কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাবেন।পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম

চলতি ও অতিরিক্ত দায়িত্বে চলছে গুরুত্বপূর্ণ পদ

বর্তমানে অতিরিক্ত আইজিপির পূর্ণ দায়িত্বে কাজ করছেন ৯ জন কর্মকর্তা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালকের পদ দুটি অতিরিক্ত আইজিপির। এই দুই পদে বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

এই দুজনের বাইরে সাতজন অতিরিক্ত আইজিপি আছেন। তাঁরা হলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মতিউর রহমান শেখ, অতিরিক্ত আইজিপি (উন্নয়ন) মো.

তৌফিক মাহবুব চৌধুরী, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, অতিরিক্ত আইজিপি (টিআর পদে) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, নৌ পুলিশের প্রধান কুসুম দেওয়ান, রেল পুলিশের প্রধান সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং অতিরিক্ত আইজিপি (ওএসডি) মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ।

তবে অতিরিক্ত আইজিপির দুটি গ্রেড-১ পদ থাকলেও বর্তমানে নিয়মিত কর্মকর্তাদের কাউকেই গ্রেড-১ দেওয়া হয়নি। যেমন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) পদটি একটি গ্রেড-১ পদ। সম্প্রতি সিআইডি থেকে মো. মতিউর রহমান শেখকে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) পদে বদলি করা হয়েছে। তবে এখনো গ্রেড-১ পাননি তিনি।

এদিকে মতিউর রহমান শেখের বদলির কারণে শূন্য হয়েছে সিআইডিপ্রধানের পদ। এই পদে এখন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সিআইডির ডিআইজি গাজী জসীম উদ্দিন।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, একই ব্যক্তি দুটি দায়িত্ব পালন করছেন। যেমন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. তৌফিক মাহবুব চৌধুরী। তিনি উন্নয়ন বিভাগের পাশাপাশি নিরীক্ষা-পরিদর্শন বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও বর্তমানে কারাবন্দী সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের নিকটাত্মীয় তৌফিক মাহবুব চৌধুরীকে নিয়ে পুলিশের ভেতরে নানামুখী আলোচনা রয়েছে। তিনি আট বছর ধরে পুলিশ সদর দপ্তরে আছেন।   

পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি), শিল্প পুলিশসহ অন্য যেসব ইউনিটের প্রধানদের পদ অতিরিক্ত আইজিপি, সেগুলোতেও এখন চলতি দায়িত্বে রয়েছেন কর্মকর্তারা। যদিও এই কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই এখন পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পদ ফাঁকা থাকা এবং যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের কাঠামো অনুযায়ী সব পর্যায়ে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সব পদেই যোগ্য কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাবেন।

অন্যান্য কত পদ ফাঁকা

পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারের ৩৪৭টি পদ এখন শূন্য রয়েছে।

এর মধ্যে ১৫২টি ডিআইজি পদের (মঞ্জুরীকৃত পদ ৮৭ ও সুপারনিউমারারি ৬৫) মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৩৪ জন। ডিআইজির নিয়মিত ১৫টি পদ এবং সুপারনিউমারারি ৩টি পদ শূন্য রয়েছে।

অতিরিক্ত ডিআইজির পদ রয়েছে ৩৪১টি (মঞ্জুরীকৃত ২০১টি ও সুপারনিউমারারি ১৪০টি)। এখন কর্মরত আছেন ৩৪০ জন। পুলিশ সুপারের (এসপি) ৭৪৬টি পদের মধ্যে মঞ্জুরীকৃত ৫৯৬টি এবং সুপারনিউমারারি ১৫০টি পদ আছে। এই দুটি পদে একটি করে পদ শূন্য রয়েছে।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ১ হাজার ৮টি পদের মধ্যে ১৩৮টি পদ শূন্য আছে। সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১ হাজার ২৩১টি পদের মধ্যে ১৮৯টির মতো পদ শূন্য রয়েছে। তবে অতি সম্প্রতি এই হিসাবে সামান্য কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

ওএসডি ও সংযুক্ত অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, এমন অন্তত ৩০ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ৮২ জনকে ওএসডি ও ১১৯ জনকে সংযুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য এঁদের অনেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী বা নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি, মানুষ হত্যার মামলার আসামি আছেন অনেক কর্মকর্তা।

জননিরাপত্তা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ওএসডি হওয়া ৮২ কর্মকর্তার মধ্যে ১৩ জন ডিআইজি, অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের অন্তত ১১৯ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিআইজি ৩০ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি ২৯ জন ও পুলিশ সুপার (এসপি) আছেন ৬০ জন। এই কর্মকর্তাদের প্রায় সবাই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন।

পুলিশের এই ১১৯ জন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করা বাহিনীটির ২১টি ইউনিট ও প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ জন করে ৩৪ জন কর্মকর্তা সংযুক্ত আছেন রাজশাহী রেঞ্জ ও রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে। রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১১ জন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে ১০ জন, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে ১২ জন, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে ১১ জনকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

৫ আগস্টের পর সংযুক্ত হওয়া এসপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিদিন অফিসে গিয়ে হাজিরা দিই এবং কিছুক্ষণ গল্প করে চলে আসি। যেখানে সংযুক্ত আছি, সেখানকার প্রধান চাইলে আমাদের কাজে লাগাতে পারেন। তবে যেহেতু ভিন্ন ধরনের একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, এ জন্য এখন পর্যন্ত কোনো কাজ দেওয়া হয়নি।’

পদ শূন্য রাখা কোনো ভালো চর্চা নয়। এভাবে পদ খালি রাখলে বাহিনীতে অস্বস্তি ও অসন্তোষ বাড়বে। এ জন্য বর্তমানে শূন্য থাকা পদগুলোর পাশাপাশি যেসব পদের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন বা পলাতক রয়েছেন, সেই পদগুলো দ্রুত শূন্য ঘোষণা করে অন্যদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা দরকার।পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা

নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কাজে

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় পুলিশে ওপরের দিকে একটি পদোন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে ছয়-সাতজন কর্মকর্তার পদোন্নতির পথ তৈরি হয়। একটি স্তরের পদ শূন্য থাকলে কয়েকটি স্তরের কর্মকর্তারা ভুক্তভোগী হন। এ জন্য ওপরের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পেলে নিচের দিকের পদোন্নতির জট খুলবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক হিসাবে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি, এএসপি থেকে তদূর্ধ্ব অন্তত ২৩ জন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৫৭ জনের মতো কর্মকর্তা পলাতক বা কর্মস্থলে ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আত্মগোপনে থাকা কর্মকর্তাদের অনেকের পদ আইনগতভাবে শূন্য ঘোষণার সুযোগ রয়েছে। তবে এই কাজেও ধীরগতি রয়েছে। ফলে পদোন্নতির প্রক্রিয়ায় একধরনের স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পদোন্নতি ও পদায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকায় বাহিনীর ‘চেইন অব কমান্ডেও’ নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অধস্তন কর্মকর্তাদের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে।

পদোন্নতি না হলে অসন্তোষ বাড়বে

পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, পদ শূন্য রাখা কোনো ভালো চর্চা নয়। এভাবে পদ খালি রাখলে বাহিনীতে অস্বস্তি ও অসন্তোষ বাড়বে। এ জন্য বর্তমানে শূন্য থাকা পদগুলোর পাশাপাশি যেসব পদের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন বা পলাতক রয়েছেন, সেই পদগুলো দ্রুত শূন্য ঘোষণা করে অন্যদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা দরকার।

মোহাম্মদ নুরুল হুদা মনে করেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব কর্মকর্তা চাকরিতে বঞ্চিত হয়েছেন, মানসিকভাবে খারাপ অবস্থায় ছিলেন ও সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন; তাঁরা এখন নতুনভাবে চাকরি করতে পারছেন। এ অবস্থায় যত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া যায়, তত ভালো। কারণ, অন্য ক্যাডারের ব্যাচমেটরা যখন দুই ধাপ বেশি পদোন্নতি পেয়ে যায়, সেটার নেতিবাচক প্রভাব স্বাভাবিকভাবে পুলিশের কর্মকর্তাদের ওপরও পড়বে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল গ সরক র র স র কর মকর ত র ন কর মকর ত ক র ঞ জ ড আইজ ছ ত র জনত র প রথম আল ক ক কর মকর ত ত কর মকর ত পদ শ ন য র স য ক ত কর দ র অন ক র রহম ন অসন ত ষ এ জন য অন য য় দ র পদ অন ক ক ইউন ট সব পদ র সময় অবস থ পদগ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জিনিয়া জান্নাত ওএসডি হলেন

জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জিনিয়া জান্নাতকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত এই কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়।

তবে কী কারণে তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে, তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। প্রজ্ঞাপনে শুধু বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বিসিএস ৩৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা জিনিয়া জান্নাতের ১০ বছরের চাকরি জীবনের (২০১৪-২০২৫) চার বছর কাটিয়েছেন শরীয়তপুরে। নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে ছিলেন প্রায় দুই বছর।

গত ২৭ মার্চ তাঁর স্বামী আশরাফুজ্জামান ওরফে মিনহাজ উদ্দিনকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জিনিয়া জান্নাত ওএসডি হলেন