অস্থায়ী সুরক্ষার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পাওয়া হাজার হাজার আফগান ও ক্যামেরুনের নাগরিক তাঁদের সুরক্ষা হারাচ্ছেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়ার ক্ষেত্রে আর সুরক্ষা পাবেন না। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম মনে করছেন, আফগানিস্তান ও ক্যামেরুনে এখন এমন কোনো অবস্থা চলছে না যে দেশ দুটির অভিবাসীদের টিপিএস নামের সুরক্ষা দিতে হবে। এক বিবৃতিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী মন্ত্রী ট্রিসিয়া ম্যাকলগ্নিন এ কথা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ হাজার ৬০০ আফগান নাগরিক টিপিএস সুরক্ষার আওতায় আছেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মে মাসে সে সুরক্ষা তাঁরা হারাতে যাচ্ছেন। আর জুনে সুরক্ষা হারাবেন ক্যামেরুনের প্রায় ৭ হাজার ৯০০ নাগরিক।

এ সিদ্ধান্তের কথা এমন দিনে জানা গেল, যেদিন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে ভূমিকা রাখা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়িত করা হতে পারে বলে অভিবাসন আদালত মত দিয়েছেন।

যেসব দেশ সশস্ত্র সংঘাত কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে এবং সেখানে ফেরাটা নিরাপদ নয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে—এমন দেশগুলোর নাগরিকদের টিপিএস সুবিধা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণত ১৮ মাসের জন্য এমন সুরক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের দায়িত্বরত মন্ত্রী, সে মেয়াদ নবায়ন করতে পারেন। টিপিএস সুবিধার আওতায় অভিবাসীদের বিতাড়িত করা থেকে সুরক্ষা দেওয়া হয় এবং তাঁরা কাজ করারও অনুমতি পান।

ম্যাকলগ্লিনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস আফগানদের জন্য টিপিএস সুবিধা ১৮ মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর ২১ মার্চ নোয়েম সিদ্ধান্ত নেন, টিপিএস সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত থাকে, সেগুলো আফগানিস্তান ও ক্যামেরুনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না।

ম্যাকলগ্নিন আরও বলেছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইএসসিআইএসের এক পর্যালোচনার ভিত্তিতে নোয়েম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রায় চার বছর আগে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।

ম্যাকলগ্লিনের তথ্য অনুসারে, ক্যামেরুনের অভিবাসীদের টিপিএস সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ৭ এপ্রিল।

গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার পাঁচ লাখের বেশি অভিবাসীকে অস্থায়ীভাবে দেওয়া বৈধতার মর্যাদা তারা প্রত্যাহার করবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনকালে সিএইচএনভি নামে পরিচিত এক কর্মসূচির আওতায় তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। কর্মসূচিটি বাতিল হওয়ার আগপর্যন্ত এর আওতায় ভেনেজুয়েলার ১ লাখ ২০ হাজার ৭০০-এর বেশি নাগরিক, কিউবার ১ লাখ ১০ হাজার ৯০০-এর বেশি নাগরিক এবং নিকারাগুয়ার ৯৩ হাজারের বেশি নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট প এস স ব ধ আফগ ন স ত ন র আওত য় মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষ্ণাকে ছাড়াই ভুটান গেলেন ৫ নারী ফুটবলার

সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার পর ভুটানের ফুটবল লিগে খেলতে গেলেন আরও পাঁচ নারী ফুটবলার। আজ সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।

এই পাঁচজন হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা। তাঁদের সঙ্গে ভুটান যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল কৃষ্ণা রানীর। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেছে।

আরও পড়ুনভুটানের লিগে খেলতে যাচ্ছেন কৃষ্ণা–সানজিদাসহ আরও চার ফুটবলার০৮ এপ্রিল ২০২৫

৬ এপ্রিল ভুটান যাওয়া সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা খেলবেন ভুটানের ক্লাব পারো এফসির হয়ে। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ডিফেন্ডার মাসুরা ও গোলকিপার রুপনাকে। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণার একই দলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে। আর থিম্পু সিটির হয়ে খেলবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার।

বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।

আরও পড়ুনঅনুশীলনে ফিরেও দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহীরা০৮ এপ্রিল ২০২৫

এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।

১৫ এপ্রিল ভুটানের নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা। এই লিগ প্রায় ছয় মাস চলে। ভুটানের লিগ চলাকালে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলে তাঁরা ঢাকায় ফিরে আসবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ